কাপ্তাইয়ের জনগন এমনই ওসি চায়, মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে আসামি গ্রেফতার
মাহফুজ আলম, কাপ্তাই : রাজস্থলী উপজেলার সীমান্ত বর্তী কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানার বাঙ্গালহালিয়া এলাকায় এক গৃহবধুকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত দূরদর্শ সন্ত্রাসী থুইমং মারমা (৩১) কে ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে গোপন সংবাদের বিত্তিতে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে ডংনালা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়.এবং গত i২০ এপ্রিল মঙ্গলবার আসামিকে রাঙামাটি জেলা জাজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য গেল শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার সময় বাঙ্গালহালিয়া ডাক বাংলো এলাকায় এক গৃহবধুকে অতর্কিতভাবে ছুুুরিকাঘাত করে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় থুুইমং মারমা। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে রবিবার (১৮ এপ্রিল) চন্দ্রঘোনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৩/ ১৮/০৪/২০২১ ধারা, ৩৪১, ৩০৭.৩২৩.৩২৪.৩২৬.৩৭৯.৫০৬/২।
বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ঞেমং মারমা জানান, এলাকার স্থানীয় যুবক থুইমং মারমা গৃহবধুকে একা পেয়ে ১৭ এপ্রিল রাতে গৃহবধুর হাতে থাকা মোবাইল চিনিয়ে নেয় এবং ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথা, গলা, হাতে ও পায়ে গুরুতর ভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্হল থেকে মহিলাকে রক্তাক্ত ( মুমূর্ষ অবস্থায়) উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। অভিযুক্ত ক্যসুইথুই মারমা একই এলাকার রেগ্যা মারমার ছেলে বলে স্হানীয়দের দাবি।
চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগির পরিবারের পরিবারের পক্ষ হতে অভিযুক্ত থুইমং মারমাকে আসামি করে চন্দ্রঘোনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন. বিষয়টি কালবিলম্ব না করে গুরুত্বের সাথে অভিযান অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।