কাপ্তাই থেকে ফুলেল শুভেচছা ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটির কমিটি গঠিত প্রান্ত প্রেসিডেন্ট প্রধান সমন্বয়ক তাসনিম

0

মাহফুজ আলম, ঢাকা থেকে ফিরে : ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, (ডুয়েট) এর শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তা শক্তির বিকাশ ও উৎকর্ষতার পরিবেশ সৃষ্টিতে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটি(ডি আই এস)। তারই ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশিত হলো ২০২১-২২ এর পরিচালনা কমিটি।

ডুয়েটের ডিরেক্টর অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার প্রফেসর ডক্টর নজরুল ইসলাম ও সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাগন ও প্রতিষ্ঠাকালীন এডভাইসর স্বাক্ষরিত এডভাইসর প্যানেল ও স্টিয়ারিং কমিটি প্রকাশিত হয় (২রা জুন) বুধবার বিকাল পোনে ৫টার সময় । ইইই চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিদরাত মুনতাহা নুর প্রান্ত( এস এম নূর প্রান্ত) কে সভাপতি ও সিএসই চতুর্থ বর্ষের জেরিন তাসনিম প্রধান সমন্বয়ক এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট সোসাইটির এই কমিটি ঘোষণা করা হযেছে।
কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেব রয়েছেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ হাবিবুর রহমান।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোঃ নজরুল ইসলাম। এছাড়াও উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সকল ফ্যাকাল্টির ডিন, সকল ডিপার্টমেন্টের হেড, রেজিস্টার, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর গন সহ বিভিন্ন শিক্ষকবৃন্দ। সোসাইটির উদ্দেশ্য প্রফেসর ডঃ মোঃ আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটি তরুণ ছাত্রদের ভিতরের ঘুমন্ত চিন্তাশক্তিকে জাগ্রতকরনে কাজ করতেছে। তারা বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে যুবকদের মধ্যকার উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তিকে বের করে আনছে। যা দেশের প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজে দেবে এবং যা দেশের শিল্পায়নে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে‌।

প্রফেসর ডঃ রাজু আহমেদ বলেন, ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটির কার্যক্রম হবে সীমাহীন। আমি আশা করি ডি আই এস এর কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হবে।ডি আই এস এর কার্যক্রম দ্বারা ডুয়েট এর সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সম্পর্ক স্থাপন হবে।বড় স্বপ্ন থাকলেই বড় সফলতা সম্ভব। ডি আই এস সব সময় বড় স্বপ্ন দেখাবে আমাদের তরুণদের এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেও ভূমিকা রাখবে। প্রফেসরঃ ডঃ মোঃ আব্দুস শহিদ বলেন, সংগঠনের নিয়মিত কিছু প্রোগ্রামের আয়োজন করতে হবে।সবাইকে সমন্বয় করে উপদেশ গ্রহনের মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে।

এছাড়া প্রফেসর ডঃ মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, এ সংগঠনের সাথে আমি একদম শুরু থেকে যুক্ত আছি বলতে গেলে বীজ থেকে যেমন চারাগাছ অঙ্কুরিত হয় ঠিক এমন সময় থেকে। আমার খুবই স্নেহের ছাত্র (এস. এম. নূর প্রান্ত ও সুকান্ত শর্মা শিপ্লব) এদের সাথে সংগঠনের শুরু থেকেই যুক্ত থেকে নানান দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে আসছি। ইনোভেশন রিলেটেড কাজে আমাদের যুক্ত থাকতে হবে। এভাবে কাজ করে যেতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমার ছাত্ররা সংগঠনের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিদরাত মুনতাহা নূর প্রান্ত বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশনের দিকে নিয়ে যেতে দেশের জনশক্তির এক অংশকে অবশ্যই উদ্ভাবনের দিকে আসতে হবে ও ব্রেইন স্টর্মিং করতে হবে। ডুয়েট ইনোভেশন সোসাইটি সবসময় দেশের উন্নয়নের দৃঢ প্রতিজ্ঞ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.