চিরিরবন্দরে ভুয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা
মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর অধীন চিরিরবন্দর জোনাল অফিসের সফটওয়্যার নষ্ট থাকায় ভুয়া বিল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন এর অধীনে থাকা অর্ধলক্ষ গ্রাহক। বিল পরিশোধ করার পরও বিলের সঙ্গে বিগত মাসের বকেয়া বিল যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
সরেজমিনে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫৪ হাজার গ্রাহক। তাদের অধিকাংশই গ্রামের সাধারণ, কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। বাড়িতে রাতের বেলায় ২-৪টি লাইট, একটি টিভি অথবা কয়েকটি ফ্যান চলে। এসি কিংবা ফ্রিজসহ অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতিও নেই তাদের। সাধারণত তাদের মাসিক বিদ্যুৎ বিল ৩০০ থেতে ৫০০ টাকা হয়। কিন্তু দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বকেয়া বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে না বুঝে আবার সেই টাকা পরিশোধও করেছেন।
উপজেলার পূর্ব সাইতাড়া গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক নাজমুল ইসলাম বিডি২৪ভিউজকে বলেন, বকেয়া বিল পরিশোধ করার পরও চলতি মাসের বিলে গত মার্চের বিল বকেয়া হিসেবে যোগ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোঃ বেলাল হোসেন বিডি২৪ভিউজকে বলেন, আমি এ মাসের বিলের কাগজ দেখে আবাক। আমার বিল এসেছে ৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালের ৩ মাসের বকেয়া বিল সেখানে যোগ করা করা হয়েছে। অথচ আমার ২০২০ সালের সকল বিল পরিশোধ করা আছে।
একই ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের মোঃ খয়বর আলী বিডি২৪ভিউজকে বলেন, এ মাসে আমার বিল এসেছে ১২০০ টাকা। গত মাসে আমার বিল এসেছিল ১৬২ টাকা। আমার কোন বকেয়া বিল নেই অথচ অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে অনেক বিল বেশি এসেছে। তিনি আরোও বলেন, শুধু এই সমস্যা আমার একার না গ্রামের অধিকাংশ মানুষের।
উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের ফলিমারিডাঙ্গা গ্রামের গ্রাহক আনিসুর রহমান বিডি২৪ভিউজকে বলেন, আমাদের গ্রামের অনেকের বিলের সঙ্গে আগের পরিশোধ করা বিল বকেয়া হিসেবে যোগ করে পুনরায় বিল দেওয়া হয়েছে। আমরা পল্লী বিদ্যুতের অফিসে যোগাযোগ করেও এর সমাধান পাচ্ছি না।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট রুমে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। সবাই একই সমস্যার সম্মুখীন। তাই অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে চিরিরবন্দর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম ইসরাত সুলতানা বিডি২৪ভিউজকে বলেন, মাঝখানে আমাদের সফটওয়্যারে কিছু সমস্যা হয়েছিল, সে জন্য আমরা বকেয়া বিলগুলো প্রিন্ট করতে পারছিলাম না। আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে যারা বিকাশে বা টেলিটকে বিল পরিশোধ করেছেন, তাদেরগুলোতেও একটু সমস্যা আছে।
তিনি আরোও বলেন, যারা অফিসে অভিযোগ নিয়ে আসছেন, তাদের সমাধান করে দেওয়া হচ্ছে। সফটওয়্যার মেরামত করা হয়েছে এবং সামনের মাস থেকে এ সমস্যা থাকবে না বলেও জানান তিনি।