নাটোরে পুলিশিং ওপেন হাউজ ডে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

0

রিয়াজ হোসেন (লিটু), নাটোর থেকে : অপরাধ দমন ও প্রতিকার, অপরাধী বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ, গ্রেপ্তার, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদকাসক্তি, অসামাজিক কার্যকলাপ, এলাকাভিত্তিক বিরোধসহ সমাধানের ক্ষেত্রে আধুনিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন উপলক্ষে নাটোরে পুলিশিং ওপেন হাউজ ডে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নাটোর সদর উপজেলার জালালাবাদ বাজারে সদর থানা পুলিশ আয়োজিত এই পুলিশিং ওপেন হাউজ ডে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোজাম্মেল হক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পলিশ সুপার মহসিন, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান, এসআই জামাল উদ্দিন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রধান অতিথি বলেন, আমরা কতটুকু সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছি তা জেনে, সকলের মতামত নিয়ে জনগনের সেবার মান আরও বাড়াতে “ওপেন হাউজ ডে” নামে এই জবাবদিহিতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কোন ভুক্তভোগী তাঁর কাঙ্খিত সেবা সঠিক ভাবে পেয়েছেন কি-না তা এখানে সবার সম্মুখে পর্যালোচনা করা হয়। কতজন সেবা বঞ্চিত ভুক্তভোগীদের কথা শুনে তাদের সেবা দিতে পেরেছি তার উপর নির্ভর করে এই অনুষ্ঠানের সফলতা।

অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগীদের উত্থাপিত নানান বিষয়ে থানা পুলিশ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনাকালে প্রধান অতিথি বলেন, রাষ্ট্রের সেবক হিসেবে গণমুখী পুলিশিং এর মাধ্যমে জনসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিমাসে প্রতিটি থানায় একটি নির্দিষ্ট দিনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে করে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করা যায়।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশকে যেমনি শতভাগ পেশাদারিত্বের সাথে আন্তরিকতা নিয়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে হবে তেমনি জনগণকেও পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ ও জনগণের পারসপরিক সহযোগিতার সেতুবন্ধন ছাড়া শতভাগ পুলিশি জনসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের সৎ, নিষ্ঠাবান ও ভালো মানুষদের কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে যুক্ত হতে হবে। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা নিনির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন, সেই স্বপকে বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছি সেটাকে আরো গতিশীল করতে তরুণদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। আর তরুণ সমাজকে সঠিক পথে রাখার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকা অপরিসীম।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.