বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্রবাসীদের দাবী জয়া হলে নয়, ওজনপার্কে কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবী

0

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসীদের প্রাচীনতম সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইনক’র নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য জয়া হল নয়, ওজনপার্কে কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওজন পার্কের একটি মিলনায়তনে বিয়ানীবাজারবাসীদের পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্শেরনে এই দাবী জানানো হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১০ অক্টোবর রোববার সংগঠনের বহুল প্রতিক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুই প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খবর ইউএনএ’র।

সচেতন প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসীদের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শামীম আহমেদ, আব্দুল নূর, মইনুল হোসেন, মাহি উদ্দিন ও সালেহ আহমেদ মুনিয়া উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সালেহ আহমেদ মুনিয়া। পরে অন্যান্যরা উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ানীবাজার সমিতিতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। বেশীরভাগ ভোটার ওজনপার্কে বসবাস করলেও ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে উডহ্যাভেন বুলেভার্ডের জয়া হলে। কোন স্বার্থে এই কেন্দ্র হলো তা বোধগম্য নয়। তারা ভোটারদের সুবিধার্থে ওজনপার্কে কেন্দ্র দাবী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাবেক কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ মুনিয়া বলেন, উত্তর আমেরিকায় প্রাচীনতম বাঙালী কমিউনিটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহৎ সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইনক। এই সংগঠনের বহু প্রতিক্ষিত নির্বাচন আগামী ১০ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘদিন সমিতির কার্য্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের ফলে অচলবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। বিগত দিনে সংগঠনটির দৃশ্যমান কার্য্যক্রম শূন্যের কোঠায় পৌছেছিল। উপরন্ত স্বেচ্ছাচারি নের্তৃত্বের ফলে সাধারণ সদস্য গণ নির্বাচন বর্জন করেন। ফলে সমিতির কার্য্যক্রমে অচলবস্থা সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক কর্মকর্তা সদস্যগণ এবং হাজার হাজার নতুন উৎসুক বিয়ানীবাজার বাসীর আবেগ ও আকাঙ্খাকে সম্মান জানাতে এ বৎসর নির্বাচনে অংশ গ্রহনের প্রস্তুতি নেন এবং সংগঠনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারের নাম দুইটি প্যানেলের মাধ্যমে জমা পড়ে । নতুন ভোটারদের উৎসাহ ও পুরাতনদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচনে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এদিকে বর্তমান কমিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিবর্গের সমন্বয়ে সুষ্ঠ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। নির্বাচন কমিশনের সদস্য বৃন্দের প্রতি মানুষের অগাধ শ্রদ্ধা ও বিশ^াসকে কাজে লাগিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার শুরু থেকে বিভিন্ন প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে একক আধিপত্য বজায় রেখে নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার চেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ানীবাজারের সকল জনগনের ও সমিতির আজীবন ও সাধারণ সদস্যদের মতামতের কোন রকমের গুরুত্ব না দিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় নির্বাচনের স্থান নির্ধারণ করেন। ফলে সচেতন মহল ও ভোটারগর উদ্বিগ্ন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়: নিউইয়র্কে বসবাসরত বিয়ানীবাজারবাসীর বেশীর ভাগ মানুষ ও ভোটারদের বসবাস ওজনপার্কে অবস্থিত। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ানীবাজার সমিতির স্থায়ী ভবনটিও ওজন পার্কে অবস্থিত। প্রতি বছরের ন্যায় সবাই আশা করেছিলেন যে নির্বাচনের সেন্টারটি ওজনপার্কে হবে এবং এখানে মোট ভোটের প্রায় ৪৫০০ মধ্যে প্রায় ৩০০০ ভোটার বসবাস করছেন। জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বর্তমান কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটি সম্মিলিতভাবে একটি প্যানেলের পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টার মালিকাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জয়া হলে উডহ্যাভেন-এ নির্বাচনের স্থান নির্ধারন করেছেন। উল্লেখ্য যে, জয়া হল একটি ব্যস্ততম রাস্তার উপরে অবস্থিত। ফলে বয়োবৃদ্ধ এবং মহিলা ভোটারগনের জন্য এ স্থানটি মোটেই উপযুক্ত নয়। এ হলটিতে যাতায়তের জন্য কোন ট্রেন সার্ভিস নেই, বাস যোগাযোগও অপ্রতুল। এছাড়া বর্তমান প্যান্ডামিকের সময় ভ্যাকসিন ছাড়া যে সমস্ত ভোটার আছেন তাদের জন্য এ হলে ভোট প্রদান করা খুবই ঝুকিপূর্ন।

এছাড়াও নির্ধারিত নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রে গাড়ী পার্কিং নেই, যাতায়াতের অনুকূল পরিবেশ নেই। হলে গমন ও বহির্গমনের জন্য একই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। উপরন্ত এ হলটি বেসমেন্ট এ অবস্থিত হওয়ায় বয়োজ্যোষ্ঠ ও নারী ও অথবা অসুস্থ ভোটার গণ ভোট প্রদানে বাধাগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা প্রচুর। ভোটের দিন প্রায় ৫৫০০ হাজার ভোটার এবং হাজার হাজার দর্শনার্থী শুভাকাংখীদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে হলের আশপাশ। এমতাবস্থায়, যদি কোন কারনে ভোট গ্রহনে বাধাগ্রস্ত হয় এর দায় নিবে কে? এছাড়া ভোট কেন্দ্রে যাতায়াতে অর্থ ও সময়ের অপচয় হবে। যা ওজনপার্কে হলে সময়, অর্থের অপচয় হবে না এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না। আমাদের দাবি ভোটাধিক্যের মাধ্যমে প্রয়োজনে দু’টি সেন্টার ১টি ওজন পার্কে এবং অপরটি ২য় ভোটারবহুল স্থানে স্থাপন করে মানুষের মনের ভাব গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রকাশের সুযোগ দিন। তারা এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.