শেখ হাসিনার হাতের ছোঁয়ায় উন্নত হচ্ছে রাজবাড়ী
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : অবহেলিত গোয়ালন্দ মহকুমা বর্তমান রাজবাড়ী জেলা। এখন আর অবহেলিত নেই। শেখ হাসিনার হাতের ছোঁয়ায় ২০০৮ সালের পর উন্নয়নের সিঁড়িতে পা রেখেছে রাজবাড়ী জেলা। ৩শ’ ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ। তৈরি হয়েছে কাজী হেদায়েত আলী স্টেডিয়াম, জেলার প্রতি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা ভবন, গৃহহীনদের আবাসন ব্যবস্থা, আশ্রয়ণ প্রকল্প, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে ৪৫ কিলোমিটার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক, শুরু হয়েছে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা, রাজবাড়ী-গোপালগঞ্জ ট্রেন চলাচল। তৈরি হয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নির্মাণাধীন রয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট আধুনিকায়নসহ নদী শাসন। প্রস্তাবনায় রয়েছে রাজবাড়ী আধুনিকায়নে ট্রেন সংযোগ।
পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী জেলা। রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, কালুখালী ও পাংশা এই চারটি উপজেলা পদ্মা নদী ঘেঁষে অবস্থিত। পদ্মা নদীর ভাঙ্গা-গড়ার মধ্যে জেলার সাধারণ মানুষের বসবাস। পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে জেলাবাসীদের রক্ষা করতে নদী শাসনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে ৩শ’ ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ। উন্নয়নের সেবা মানুষের দুয়ারে পৌঁছানোর জন্য সরকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট, ভূমি রেজিস্টার্ড, যুব উন্নয়ন অধিদফতর অফিস এবং প্রাইমারী ইনস্টিটিউট (পিটিআই) জেলায় তৈরি করেছেন। উন্নয়ন হয়েছে জেলার রাস্তা-কালভার্ট। বিদ্যুত পৌঁছানো হয়েছে শতভাগ গ্রামে।
রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ॥ পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে প্রতি বছর ছোট হয়ে আসছে রাজবাড়ী জেলার আয়তন। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঈদগা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নদীর গর্ভে চলে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। ইতোমধ্যে সরকার নদী ভাঙ্গনের কবলের হাত থেকে জেলাবাসীদের রক্ষা করতে ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের শুরু হয় রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ। এই কাজ শেষ হয় ৩১ ২০২১। সরকারী উদ্যোগে নদী শাসনের জন্য নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট আধুনিকায়নের পরিকল্পনা ॥ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট আধুনিকায়ন হলে রাজধানীর ছোঁয়া পাবে রাজবাড়ী। এরই মধ্যে সরকার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে টানেল তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই নৌরুট আধুনিকায়ন ও টানেল তৈরি হলে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে ঢাকায়। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা হিসেবে রাজবাড়ীতে গড়ে উঠবে শিল্প প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পাবে গ্রামের অবহেলিত নারী-পুরুষ। কর্মসংস্থান পাবে বেকার শিক্ষিত নারী-পুরুষ। উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারবে গ্রামের সাধারণ ছেলেমেয়েরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, আগামী শুকনো মৌসুমে শুরু হবে প্রায় ১৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আধুনিকায়নের কাজ। রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং সড়কপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য সারাদেশে পণ্য পরিবহনে বিজনেস হাব গড়ে তুলবে সরকার। প্রকল্পের আওতায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের উভয় পাড়ে ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। উভয় ঘাট কেন্দ্র করে সারাদেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নদী খনন করবে। শুধু ঘাটের উভয় পাশেই ৪৫ লাখ ঘন মিটার ড্রেজিং করা হবে।
কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য এসব জমিতে গড়ে উঠবে বহুতল টার্মিনাল ভবন, এর আয়তন হবে ১২ হাজার ২ বর্গমিটার। নদীবন্দরে থাকবে সুবিশাল পার্কিং ইয়ার্ড। ১ হাজার ৩৪০ মিটারের একটা স্টিল জেটি থাকবে। নির্মিত হবে ২২টি পন্টুন। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো যেন পদ্মায় বিলীন না হয় সেজন্য উভয় পাড়ে ৮০০ মিটার নদী শাসন কাজ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় তৈরি হয়েছে ভবন। তৈরি হচ্ছে আবাসনের ব্যবস্থা। সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার যেন ভাল থাকতে পারে এমনি ব্যবস্থা করছেন শেখ হাসিনা সরকার। ইতোমধ্যে পাঁচ উপজেলায় ৬০টি এক তলা বিশিষ্ট বাড়ি তৈরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। চলতি বছরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০টি এক তলা বিশিষ্ট বাড়ির কাজ শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য এমন আবাসন তৈরি করে দেয়া হবে। এমনি কথা জানান রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম।
জেলার সকল গৃহহীনের পাকা ঘর প্রদান ॥ জেলায় একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। গৃহহীন প্রতিটি পরিবার পাবে পাকা ঘর। ইতোমধ্যে জেলার অসহায়, ছিন্নমূল এবং গৃহহীনদের মাঝে সরকার পাকা ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। প্রথম পর্যায় সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীতে ৪৩০টি পাকা ঘর বিতরণ করেন। ২য় পর্যায় জেলায় ৭৬০টি পাকা ঘর বিতরণ করেন। প্রতিটি পাকা ঘর প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়। সেই হিসাবে ২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা ভিক্ষুকমুক্ত ॥ রাজবাড়ী জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। জেলার সকল ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করছে। ভিক্ষুকদের তালিকা করে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। সরকারের এই মহতী উদ্যোগ স্বাগত জানিয়ে ভিক্ষুকরা, ভিক্ষা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করে জীবন যাপন করছে। সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অঙ্গীকার করে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন কর্ম করে চলছে। রাজবাড়ী প্রতিবন্ধীদের নিজস্ব সংগঠনের সভাপতি রতন জানান, এই সরকার আমাদের কর্মের পথে নিয়ে গেছে। মানুষের কাছে হাত পেতে সহযোগিতা নেয়া বন্ধ করেছে। আমরা এখন কর্ম করে জীবন যাপন করি। তিনি আরও বলেন, আয় কম করলেও সম্মান নিয়ে বেছে আছি।
রাজবাড়ী ২৫০ শর্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণাধীন রয়েছে ॥ মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা। কিন্তু রাজবাড়ী জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বললে চলে। রাজবাড়ী জেলায় সবচেয়ে বড় চিকিৎসালয় ১৫০ শর্যা সদর হাসপাতাল। এই হাসপাতালে ওপর নির্ভরশীল হতে হয় সাধারণ মানুষ। কিন্তু হাসপাতের ডাক্তার সঙ্কট, গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি না থাকায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। সাধারণ চিকিৎসা ক্ষেত্রেও পাঠিয়ে দেয়া হয় ফরিদপুর, ঢাকা। এতে চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যায় ৪/৫ গুণ। যে কারণে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজবাড়ীবাসী। কিন্তু রাজবাড়ীবাসীর দাবি পূরণ করছে শেখ হাসিনা।
ওয়াজেদ চৌধুরী পলিটেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ ॥ রাজবাড়ী জেলায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীর পারে অবস্থিত দৌলতদিয়া ইউনিয়নে যাত্রা শুরু করল সরকারী ওয়াজেদ চৌধুরী পলিটেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট সরকারী দৌলতদিয়া ওয়াজেদ চৌধুরী পলিটেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের যাত্রা শুরু। এই কলেজে ২০২১-২২ সালের শিক্ষাবর্ষে জেএসসি ও এসএসসি ভোকেশনাল কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ২০ জন ও নবম শ্রেণীতে ২০ জনসহ মোট ৪০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে। নতুন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ৭ শিক্ষক নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু।
বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি ॥ রাজবাড়ী জেলা শত ভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা শহর থেকে শুরু করে দুর্গম চর এলাকায়ও বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। জেলার কোথায়ও এখন বিদ্যুতবিহীন নেই। রাজবাড়ী জেলায় বিদ্যুতের আধুনিকায়ন করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। রাজবাড়ীতে বিদ্যুত উৎপাদন তৈরি করার কাজ চলমান রয়েছে। জেলায় শতভাগ বিদ্যুত হওয়ায় বেসরকারী কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য। গ্রামে-গঞ্জে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠান। কাজ পাচ্ছে বেকার নারী পুরুষ।
যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নয়ন। রাজবাড়ী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সহজে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। তৈরি হয়েছে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়ন। রাজবাড়ী শ্রীপুর থেকে পল্লী বিদ্যুত এলাকা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তরিত করেছে। রাস্তায় দুই পাশে রয়েছে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কুষ্টিয়া যেতে এক সময় ৪ ঘণ্টা সময় লাগত। মহাসড়কের উন্নয়নের পর ২ ঘণ্টার মধ্যে কুষ্টিয়া যাওয়া সম্ভব। উন্নয়ন হওয়ায় মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠেছে বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান। সেইভাবে লাভবান সাধারণ মানুষ। নিজ বাড়িতে থেকে কর্ম করতে পারছে অনেক নারী-পুরুষ। বেকার জীবন থেকে মুক্ত পেয়েছে যুবসমাজ।
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা, রাজবাড়ী-গোপালগঞ্জ ট্রেন চলাচল শুরু ॥ নিরাপদ যোগাযোগের জন্য উন্নতম হচ্ছে টেন ভ্রমণ। অল্প ব্যয়ে চলাচল করাও সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। ব্যয়ও অধিক। যে কারণে সরকার সারাদেশে নতুন নতুন রেল লাইন এবং বন্ধ হওয়া রেল লাইনগুলো চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। সারাদেশের ন্যায় যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা, রাজবাড়ী-গোপালগঞ্জ ট্রেন চলাচল শুরু করেছে এ সরকার। রাজবাড়ী-ভাঙ্গা এবং রাজবাড়ী-গোপালগঞ্জ রেললাইন শুরু হওয়ায় খুব সহজে চলাচল করতে পারে এই জেলার সাধারণ মানুষ। অল্প ব্যয়ে মালামাল বহন করতে পারে ব্যবসায়ীরা। রেললাইন চালু হওয়ায় ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে প্রতিনিয়ত এই নৌরুটে চলাচল কারী সাধারণ মানুষ।
রাজবাড়ীতে কালুখালী নামে একটি নতুন থানা ও উপজেলা গঠন ॥ জেলার পাংশা উপজেলায় ছিল অস্ত্রধারী, ডাকাত ও সর্বহারা এবং চরমপন্থীদের আখড়া। সারাবছর এই এলাকায় অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে হতো। জেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহিত রাখার জন্য কালুখালী উপজেলা ও কালুখালী নামে একটি নতুন থানা গঠন করে সরকার। চরমপন্থীদের হাত থেকে সাধারণ মানুষের রক্ষা করতে কালুখালীতে উপজেলা ও থানা তৈরি করে। নতুন কালুখালী উপজেলা ও থানা তৈরি হওয়ায় অস্ত্রের ঝনঝনানি থেকে মুক্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি সরকারী সকল প্রকার সেবা সহজে পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। উপজেলা তৈরি হওয়ায় উন্নয়ন হচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে। তৈরি হয়েছে স্কুল-কলেজ। তৈরি হয়েছে হাসপাতাল।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, রাজবাড়ী জেলা উন্নয়ন হয়েছে। আরও উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের হাতে। বিগত সরকারগুলোর আমলে অবহেলিত ছিল রাজবাড়ী জেলা। উন্নয়ন করার সকল সম্ভাবনা থাকলেও বিএনপি-জাতীয় পার্টি কখনও রাজবাড়ীতে কোন প্রকার উন্নয়ন করেনি। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়নের সিঁড়িয়ে পা রেখেছে রাজবাড়ী জেলা। এরই মধ্যে শহর রক্ষা বাঁধ তৈরি করেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে করেছে উন্নয়ন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট আধুনিকায়নের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, শুধু রাজবাড়ী জেলা নয়। শেখ হাসিনা সরকার সারাদেশে উন্নয়ন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলারও উন্নয়ন করছে। রাজধানীতে সহজে যোগাযোগের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে আধুনিকায়নের কাজ করছে সরকার। নদী ভাঙ্গন কবলিত এই রাজবাড়ী জেলায় নদী শাসনের কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাবে রাজবাড়ী জেলায়। পিছিয়ে থাকবে না চিকিৎসা ক্ষেত্রে। পিছিয়ে থাকবে না শিক্ষায়। শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে রাজবাড়ী জেলার চারপাশে। এরই মধ্যে মহাসড়কের দুই পাশে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার জন্য জমিগুলো বরাদ্দ হয়ে যাচ্ছে। অনেক জায়গা গড়ে উঠেছে শিল্প প্রতিষ্ঠান।