ভাঙাচোরা বাঁশের বেড়ায় তৈরী শ্রেণীকক্ষে ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম
মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাঙাচোরা বাঁশের বেড়া আর জরাজীর্ণ টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরী শ্রেণীকক্ষে ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। এতে যেমন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে তেমনি স্কুলের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা ও পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষকরা আছেন চরম বিড়ম্বনা ও দূর্ভোগে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সড়ক থেকে বালুময় কিছুটা জায়গা পার হয়ে বাঁশের বেড়া আর টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিদ্যালয়টি কক্ষগুলো। বিদ্যালয়ের মোট চারটি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি শ্রেণীকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ। ঘরগুলো নির্মাণের পর সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। এতে অল্প বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে অফিসের কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায় এবং শ্রেণী কক্ষে ক্লাস নিতে পড়তে হয় নানান বিড়ম্বনায়।
অন্যদিকে বিদ্যালয়টিতে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ভোগান্তির শিকার সকলেই। আবার ওয়াশরুম না থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে এই স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। স্কুলের নিজস্ব কোন জমি না থাকায় অস্থায়ীভাবে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে ঘর নির্মাণ করে পাঠদান শুরু হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৪জন এবং শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১২৫ জন।
৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, বিদ্যালয়ের মানসম্মত পরিবেশ না থাকায় আমরা স্বাভাবিক ভাবে পড়াশোনা ও খেলাধুলা করতে পারি না। এতে অন্য স্কুলের শ্রেণীকক্ষ ও বিদ্যালয় দেখে মন খারাপ হয়।
গোবিন্দপুর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো খুবই নাজুক। সেই ভাঙাচোরা ঘরেই রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাঠদান চলছে। এর মধ্যেই গত কয়েক বছর সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ফলাফল ছিলা অনেক ভালো। অনুপযোগী শ্রেণীকক্ষ গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং নিজস্ব জমিতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম এ মান্নান বলেন, বিদ্যালয়টি শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত। এটির নিজস্ব কোন জমি না থাকায় ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না তবে বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা মেরামতে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও খানসামা ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, জমি সংকটে ভবন নির্মাণ সম্ভব হয় নাই তবে দ্রুত ঐ স্কুলের অবকাঠামোগত অবস্থা পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।