সুজানগরে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

0

পাবনা প্রতিনিধি : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

রোববার (০৭ নভেম্বর) রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বনখোলা বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই পক্ষের সর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই হামলার ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধকে সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তিনজনকে পাবনা জেনারেল ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত দশটার পরে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী তার সর্থকদের নিয়ে নিজ ইউনিয়নের বনখোলা বাজারের উপরে বসে নির্বাচনী সভা করছিলেন। এ সময় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের প্রচার মাইক নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাবার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা হয়। প্রাণ ভয়ে সকলে দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে বেশ কিছু মানুষ আহত হয় বলেও জানান তারা।

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শফিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি তখন রায়পুর বাজারে ছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকাতে আমার নৌকার প্রচার মাইক নিয়ে কর্মীরা নির্বাচনি প্রচার কাজ করছিলো। বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন আমাদের প্রচার মাইকসহ নৌকা পুড়িয়ে দিয়েছে। গুলিবর্ষণ করেছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের লোকজন তাদের উপর হামলা করেনি। তারা হামলা করে উল্টো আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।

ঘটনার বিষয়ে আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্বাস আলী মল্লিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রথমে তারা আমাদের ক্লাবের উপর গুলিবর্ষন করেছে। পরে তারা শতাধিক মোটরসাইকেল ও ট্রাকযোগে আমাদের বনখোলা হাটের উপরে নির্বাচনী অফিসের উপর হামলা চালিয়েছে। শহর থেকে গুন্ডা ভাড়া করে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের নেতাকর্মী ও সর্থকদের উপরে অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনি অফিস ভাংচুর করেছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার সাথে কারা জড়িত সেটি তদন্ত হচ্ছে। ঘটনা শোনার সাথে সাথে আমাদের পুলিশ ফোর্স সেখানে পাঠানো হয়েছিল। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষের চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সাথে আমরা কথা বলছি। সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি।

প্রসঙ্গত আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে পাবনা সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.