বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবির ৭ শিক্ষক

0
মেজবা রহমান; বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৭ শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।সম্প্রতি সংস্থাটি ২০২১ সালের গবেষণার উপর ভিত্তি করে ২০২২ সালের জন্য বিশ্বের সেরা ১০,০০০ গবেষকদের নাম প্রকাশ করে। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১,৮৪৯ জন স্থান পেয়েছেন। তবে এর আগে প্রকাশিত তালিকায় ৭৮৮ জন গবেষক তালিকায় স্থান পান।

তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন কৃষি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো: জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, গণিত বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. দিপংকর কুমার, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মো: নাজমুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মো: মতিউর রহমান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো: আব্দুল মান্নান খান এবং রসায়ন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমান।

এদের মধ্যে এডির এই গবেষক বিচারের শুরু থেকেই বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় নাম পাওয়া কৃষি বিভাগের শিক্ষক ড. মোঃ জাহিদুল ইসলাম সোহাগ। তিনি বলেন, আমি আমেরিকা, চায়না, জার্মানিসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে কৃষি বিষয়ে গবেষণা করে আসছি। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় দেশে বসে অনেকাংশে পিছিয়ে পরতে হয়।শীঘ্রই আমেরিকায় গিয়ে আবারও গবেষণার কাজ শুরু করবো।

পরিসংখ্যান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মো: মতিউর রহমান বলেন, গবেষণার বিষয়টি আসলেই সময়সাপেক্ষ ও চর্চার বিষয়। একনিষ্ঠ ভাবে লেগে থাকতে হয়। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন হলে, এর প্রসারতা বাড়বে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.একিউএম মাহবুব বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন বিশ্বমানের গবেষণা করছেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমরা আশা করছি, এটি দেখে অন্যান্য শিক্ষক উৎসাহিত হবেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ২১২ দেশের ১৪হাজার ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লক্ষাধিক বিজ্ঞানীর সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে সাত লাখ দশ হাজার ৬৫২ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.