পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে ইন্টারনেটে বাজে সাইট ব্রাউজ করছে শিক্ষার্থীরা
রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে বই পড়ার পরিবর্তে ইন্টানেট বাজে সাইট ব্রাউজ করছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। ফ্রি ইন্টারনেট পেয়ে মোবাইলে অনৈতিক বিষয়ে আসক্ত হয়ে পরেছে শিক্ষার্থীরা। পাঠকের নামে আসা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চেচামেচিতে লাইব্রেরীর পরিবেশ নষ্ঠ হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা যায় দায়িত্বশীল কেউ নাই। কয়েকজন শিক্ষার্থী মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে গ্রেম খেলছে এবং বাজে সাইট দেখছে এরা কেউই বই বা প্রত্রিকা পড়ছে না। এদের কারোর সামনেই বই নেই। কিছুক্ষণ পর লইব্রেরীর একজনকে পাশের রুমে পাওয়া গেল ওনাকে বিষয়টি বললে ঐসব শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দেয়। ঐ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাগেল তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী। ফ্রি ইন্টানেট পেয়ে প্রায়ই তারা এখানে আসেন।
জামিল হোসেন(৩৭) নামের একজন পাঠক জানান, এখানে কয়েকজন ছেলে এসে মোবাইলে গ্রেম খেলছে,বাজে সাইট দেখছে এবং চেচামেচি করছে। এদের কারণে লাইব্রেরীতে পড়ার পরিবেশ নষ্ঠ হচ্ছে। কতৃপক্ষের উচিত এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া। এ ব্যাপরে সহকারী লাইব্রেরীযান মো. এনামুল হকের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান আমি লাঞ্চের জন্য বাসায় এসেছি। পাঠকরা লাইব্রেরীতে খুবই কম আসে। সরকারি সিদ্ধান্তে পাঠকদের সুবিধার্থে ইনটারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। পাঠকরা ফ্রি ইন্টারনেট পেয়ে ব্রাউজ করে। তবে আমরা খেয়াল রাখি তারা যেন অনৈতিক কিছু না দেখে।
পাবনা সংবাদ পত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান বলেন, এক সময় পাবনা সরকারি গ্রন্থাগারে ব্যাপক সংখ্যক পাঠক ছিলেন। বর্তমানে যে জায়গায় সরকারি লাইব্রেরী করা হয়েছে সেটা শহরের বাইরে। সাবেক এমপি আবদুস সুবহান তার সুবিধার্থে শহরের বাইরে লাইব্রেরী নিয়ে যায়। শহরের বাইরে হওয়ায় সেখানে পাঠক কম হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে পাবনার মানুষ লাইব্রেবীর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাঠক ধরে রাখার জন্য ফ্রি ইন্টারসেবা দেয়া হচ্ছে এই সুযোগে যুবসমাজ অনৈতিক সাইট ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সচেতন থাকবে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা ইন্টানেটের মাধ্যমে বাজে বিষয়ে ব্রাউজ না করে। পরিবেশ ভালো না হলে পাঠকদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হবে।