বগুড়া ভ্রমণ : শেষ প্রস্থ । মোহীত উল আলম
পাকিস্তান আমলে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে পড়তাম, পূর্ব পাকিস্তানে মোট সতেরটি জেলার কথা। বৃহত্তম জেলা ছিল ময়মনসিংহ, আর ক্ষুদ্রতম বগুড়া। আজ, বাংলাদেশের পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকী তথা সুবর্ণ জয়ন্তীতে বলতে হয় সেই বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলা থেকে যথাক্রমে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা হয়ে ছ’টি জেলা বের হয়েছে, আর বগুড়া ছোট থেকে আরো ছোট হয়ে জয়পুরহাট নামক জেলাটি বের হল। ছোট বয়সে পাঠ্য বইয়ে পড়া বিষয়াবলীর অভিঘাত মানুষের মনে প্রায় শেষ বয়স পর্যন্ত থাকে। সে জন্য বগুড়ার সঙ্গে আমার বেহাইওয়ালা সম্পর্ক হবার পর থেকে বগুড়া যতবার এসেছি, বগুড়া কেমন ছোট বা বড় সেটা দেখার ইচ্ছে হচ্ছিল।
গতকাল (২৩ ডিসেম্বর, ২০২১) বেহাইন একটা মাইক্রো নিয়ে আমাদেরকে বগুড়া ঘুরে দেখানর ব্যবস্থা করলেন। সোনালী, পাওলো আর নাতি-নাতনিগুলো সঙ্গে উঠল। প্রথমে গেলাম গোকুল মেধ নামক স্থানে বেহুলা আর লখিন্দরের বাসর ঘর দেখার জন্য। প্রায় ঘন্টাখানিক গাড়ি চলল। গাড়ি থেকে নেমে বগুড়ার শীতের রোদের মিষ্টি আবাহন ভালোই লাগল। একটি পাহাড় বা স্তূপের ওপর উঠতে হবে। ইটের পাতানো সিঁড়ি আছে। ক্ষয়া ইট। খুকু আর বেহাইন একটু কষ্ট হলেও উঠতে পারলেন। বেশ একটা ইয়াং ছেলের দল আগে থেকেই ভিড় করে আছে। আমরা চূড়ায় উঠে বাসরঘরের স্থাপনা দেখতে যেটি দেখলাম সেটি একটি ছোটখাটো বেডরুমের সাইজের প্রকোষ্ঠ, যার মাঝখানে কেন যেন একটি বৃত্তের মধ্যে সামান্য একটু গর্ত। সোনালী জানাল এই গর্ত দিয়েই সাপ লোহার খাঁচায় প্রবেশ করে বেহুলার স্বামী লখিন্দরকে বাসর রাতে দংশন করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু বেহুলার উপাখ্যানটি বাঙালী বধূ-রমণীর একনিষ্ঠতার এক জনপ্রিয় প্রতীকী বর্ণনা। বেহুলা কলার ভেলায় করে লখিন্দরের লাশ নিয়ে স্বর্গে মনসা দেবীর দরবারে পৌঁছায়। মনসা দেবী তার পতিপ্রেম দেখে বেহুলার প্রতি দয়া পরবশ হয়ে লখিন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দেয় শুধু একটি মাত্র শর্তে যে তার শ্বশুর চাঁদ সওদাগর যেন মনসা দেবীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে, অর্থাৎ পূজো দেয়। বেহুলা এই শর্ত মোতাবেক লখিন্দরকে নিয়ে মর্ত্যে ফিরে আসে। মনসা দেবীর আক্রোশের শিকার লখিন্দরের ভাইয়েরাও প্রাণ ফিরে পায়।
বেহুলা মিথের সৃষ্টির সামাজিক অনুষঙ্গগুলো খোঁজা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়, সেই জ্ঞান আমার নেইও। প্রথমেতো একটা বললাম, বাঙালী রমণীর পতি-দেবতার প্রতি প্রাণাতিপাত সেবার এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যদিও আধুনিক নারীবাদী চেতনার আলোকে এই প্রত্যয়টি সর্বাংশে ত্যাজ্য হবে। কিন্তু একটি আন্দাজ করতে চাই, আর সেটি হলো কর্তৃত্ব আদায় করে নেওয়া। বেহুলার শ্বশুর চাঁদ সওদাগর অনিবৃত টাইপের বণিক ছিল। হয়তো সে শাসকশ্রেণির জন্য হুমকি হয়ে পড়েছিল। তাকে নিবৃত করার জন্য মনসা দেবী, অর্থাৎ সাপেদের দেবীর আশ্রয় নেয়া হয়। বলাবাহুল্য বর্ষামগন বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার আগমনের সাথে সাথে জলজ সরীসৃপদের মধ্যে অন্যতম সাপের উপদ্রব যে বেড়ে যেতো এটাতে সন্দেহ নেই। তাই সাপকে সমাজ নিয়ন্ত্রণের একটি প্রকৃষ্ট চিত্রকল্প হিসেবে ব্যবহার করার রীতিতে মনসাকাব্য সমৃদ্ধ হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। আধুনিক সমাজে শাসক-বিরোধী লোকদের নিবৃতকারী সংস্থাগুলি হচ্ছে আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী পেশাদার বাহিনীগুলি। কিন্তু প্রাচীন সমাজে সে নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা অনেকটুকু পালন করতো ভৌতিক, আধি-ভৌতিক এবং ভীতিকর জীবজন্তুর রেফারেন্স, সাথে নানাবিধ কুসংস্কারের রিচুয়্যাল, এবং এসব ভীতিকর উপাদানগুলির প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ থাকতো শাসকগোষ্ঠীর হাতে। চাঁদ সওদাগরকে নিয়ন্ত্রণকল্পে মনসা দেবীর আশ্রয় নেয়া সে নিয়ন্ত্রণবিধিরই একটি উপাচার বলে আমার ধারণা।
যদিও গোকুল-মেধ স্তূপ পরিদর্শন করে উপরোক্ত উপাখ্যানটি বোঝার কোন উপায় নেই। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো পরিদর্শন করে আমার বরাবর যে বিভ্রান্তি হয় সেটি হলো প্রত্নতাত্ত্বিক জ্ঞান না থাকাতে শুধু ঐতিহাসিক স্থাপনার ধংসাবশেষ দেখে আন্দাজ করা যায় না কীসে কী? যেমন এখন বুঝতে পারলাম না, কী করে এত ছোট বাসরঘরে, এত বড় গোলাকার গর্তের কী ফাংশান ছিল! যেমন আগ্রা ফোর্টের হাম্মামখানা দেখে বোঝার উপায় নেই এত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ কীভাবে মোগল বারবণিতারা তাদের শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করত। হয়ত কালের শকটের চক্রযানের পরিক্রমায় প্রকৃত জায়গার আয়তন ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ে।
গোকুল-মেধের স্তূপটির একটি নির্মাণকৌশল আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করল। পাহাড়টি সবিশেষ উঁচু নয়। কিন্তু এর খাঁজে খাঁজে যাতে মাটির পাড় ভেঙ্গে না পড়ে সে জন্য সমকোণী বড় ছোট কিছু রিটেনশন ওয়াল তৈরি করা হয়েছে। প্রাচীন আমলের ইটের একটি নিজস্ব পাতলা সাইজ আছে। সে ইট দিয়ে এই সমকোণী দেয়ালের অর্ধ-আবেষ্টেনী তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তাই পাহাড়ের নীচে দাঁড়িয়ে এই সমকোণী দেওয়ালগুলোকে দেখলে মনে হয় কোন প্রাচীন পুরাকৃতি বিশেষজ্ঞ জ্যামিতিবিদ সমকোণী ল্যাগো নিয়ে যেন আপন খেলায় নিমগ্ন ছিলেন।
গোকুল-মেধ থেকে আধা ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে পৌঁছালাম ভাসু-বিহার নামক আরেকটি বিরাট স্থাপনা দেখতে। বগুড়ার গ্রামাঞ্চলের ভিতর দিয়ে রাস্তা। দু’পাশে কিষাণ-কিষাণীদের ছায়া ঢাকা বসতবাটি। বেশিরভাগই জরাজীর্ণ, মাঝে মাঝে কিছু সম্পন্ন কৃষক পরিবারের চওড়া টিনের চালাসহ সমৃদ্ধ ঘরবাড়ি। প্রায় সব বাড়িরই উঠোনে এবং পুকুরে হাঁস, মুরগি, ছাগলের আনাগোণা। গরু বরঞ্চ একটু কম দেখলাম মনে হয়।
ভাসু-বিহার মনে হল প্রায় কুমিল্লার ময়নামতি কোটবাড়ির আরেকটি সংস্করণ। বৌদ্ধদের জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষণপ্রণালীর মধ্যে ভারতবর্ষ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করলে একটি অনুভূতি জাগবেই, আর সেটি হলো ভিক্ষুরা নিভৃতে—লোকালয় থেকে দূরে—সাধনায় নিমগ্ন থাকতে পছন্দ করতেন, পছন্দ করতেন পন্ডিত এবং শিষ্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ যেন কঠোর নিয়ম-শৃঙ্ক্ষলার মধ্যে নিভৃতে সম্পন্ন হয়। প্রাচীন বৌদ্ধমন্দিরগুলো এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সবগুলোই হয় লোকালয় থেকে অতীব দূরে নির্জন বনাধারে, কিংবা বিশাল নিরালা প্রান্তরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে কিংবা সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায়। নেপালের নাগরকোটে একটি মন্দির দেখতে গিয়ে মনে হয়েছিল যেন এভারেস্টে উঠছি। বান্দরবানে পাহাড়ের ওপর যে স্বর্ণমন্দিরটি আছে, সেটা আমার দেখা খুব পছন্দের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। রাঙামাটির রাজবনবিহারের মন্দিরটি যদিও সমৃদ্ধি ও সৌকর্যে এক কথায় বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
ভাসু-বিহারের স্থাপনারীতি ময়নামতির মতোই একটি প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবয়ব বহন করছে। একটা জিনিষ ময়নামতি দেখে যেমন বুঝতে পারি নি, এবং আগেই বলেছি ধংসাবশেষ দেখে বোঝা যায় না প্রকৃত ফাংশান কোনটার কী ছিল, ঠিক সেরকম এখানে মাটির মধ্যে পোঁতা দেয়ালগুলোর পরিসীমা দেখে বোঝার উপায় নেই, এগুলি কি শ্রেণিকক্ষ ছিল, নাকি পড়ুয়াদের বাস-কক্ষ ছিল। পরিসরগুলি এত সংক্ষিপ্ত যে কোনভাবে কক্ষগুলোকে একটা শ্রেণিকক্ষ বা ছাত্রাবাসের কক্ষ মনে করার জো নেই। বরঞ্চ স্থাপনার বাইরে বিশাল বটগাছটি—সম্ভবত শতবর্ষী—দেখে সেখানে ছুটে গেলাম। সোনালীরা অনেক ছবি তুলল। বৃক্ষ আমার চিরদিনের ভালোবাসার প্রাকৃতিক বিষয়। তাই আমিও কয়েকটা ছবি তুললাম। গাছটির হয়তো কোন প্রবল ঝড়ে বা বজ্রপাতে কান্ড ফাঁক হয়ে যায়, কিন্তু দু’পাশে ভেঙ্গে পড়া ডালগুলো আবার মাটিতে শিকড় নিয়ে বেড়ে উঠেছে।
এরপর গেলাম মহাস্থানগড় এলাকায়। বিশাল এর পরিসীমা। র্যাম্পার্ট বা চওড়া সীমানা দেয়াল ধরে মাইলখানেক হাঁটলামও। প্রায় একইরকম ভূ-চিত্র। এটি সম্ভবত পুন্ড্র নামক প্রাচীন শহরটিকে সংজ্ঞায়িত করছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠা পায়। পাহাড়ের গা কেটে কেটে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা প্রাচীন দেয়ালসহ প্রকোষ্ঠগুলি উন্মুক্ত করার কাজে নিয়োজিত আছেন। ময়নামতি বা ভাসুবিহারের চেয়ে মহাস্থানগড়ের উদ্ধারপর্ব বেশ খানিকটা পরিপূর্ণ—অর্থাৎ প্রাচীন একটা শহর যে এটা ছিল সেটি বোঝা যায়।
এরপর আমরা গেলাম সম্পূর্ণ অন্যরকম একটি স্থাপনায়—স্থাপনা বলতে একটি আধুনিক পাঁচতারকা হোটেল, নাম মম ইন। মন কাড়া একটা প্রাঙ্গন, যেখানে বাচ্চাদের জন্য দোলনা লাইন ধরে সাজানো, যেখানে তাদের জন্য রয়েছে ওয়ান্ডারল্যান্ড জাতীয় খেলার নানান সামগ্রী। আমরা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ সারলাম। তারপর বাচ্চাদেরকে খেলতে দিয়ে যখন নিজেরা কফি খাচ্ছি কফি শপের আঙ্গিনায়, হঠাৎ বেয়ারার এসে টিস্যু পেপারগুলো একটি পেপারওয়েট দিয়ে চাপা দিল। কেন? বলল, হেলিকপ্টার আসছে। হেলিকপ্টার? হুঁ, দেখলাম ভ্যাট ভ্যাট করে গুঞ্জন তূলতে তুলতে উত্তর দিক থেকে একটি হেলিকপ্টার নেমে আসছে। এতক্ষণে দেখলাম, আমরা যেখানে বসেছি, তার ঠিক পেছনে একটি ছোট্ট হেলিপোর্ট। তখন চোখ পড়ল পাঁচতারকা হোটলের একটি ভবনের দেয়ালগাত্রে বিশাল বিশাল অক্ষরে লেখা ৪ হাজার টাকায় দশ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার ভ্রমণ। বেহাইনকে একটু উশকালাম হেলিকপ্টারে চড়ার জন্য, খুকুকেও বললাম। তাঁদের ‘নো’, আর আমার পকেট খুশিতে হেসে উঠল। তবে গ্রাহকের অভাব দেখলাম না। লাইন ধরে লোকে টিকেট কাটছে, আর প্রতি দশ মিনিটে চারজন করে লোক আকাশে উড়ছে। “আমি যদি হতাম বনহংস।”
মম ইনের মালিক একজন বিখ্যাত মহিলা। সম্ভবত রহস্য গল্প লেখিকা রোমেনা আফাজের চেয়েও তিনি বগুড়ায় এখন সবচেয়ে খ্যাতিমানা। তাঁর নাম অধ্যাপক ড. হোসনে আরা। তাঁর সংস্থার নাম TMSS, বা ঠেঙামারা মহিলা সবুজ সংঘ। তাঁর গল্প শুনলাম, তিনি শুধু কোটি কোটি পত্নী নন, একজন নারীমুক্তি আন্দোলনের প্রধান নেত্রী, পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁর, এবং একজন বললেন, ‘কোনটি তাঁর নয়’। যে সব পাঠক আমার সমসাময়িক বা কাছাকাছি বয়সের তাঁরা নিশ্চয় মনে করতে পারবেন যে দেশ স্বাধীন হবার পরপর সবচেয়ে বেশি যে খবরটি সারা দেশকে অবাক করে দিয়েছিল, সেটি হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের জৈবিক কারণে লিঙ্গান্তর হয়ে মেয়ে হয়ে যাওয়া। সে সময় ডাক্তারেরা অস্ত্রোপচার করে এই কঠিন চিকিৎসাটি সম্পন্ন করেছিলেন। ছাত্রটির নাম ছিল সামাদ, মেয়ে হয়ে নাম নেন হোসনে আরা। আর তিনি বিয়ে করেন রুমমেইটকে। সে হোসনে আরাই আজকের বিখ্যাত হোসনে আরা। তাঁর সমাজসেবামূলক ও মানবতামূলক কাজের কথা বগুড়ার লোকের মুখে মুখে। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এরপর সন্ধ্যার পর সাতমাথার মোড়ে ঐ TMSS ভবনের তিনতলায় কবি এবং সংস্কৃতি সংগঠক এবং বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিকের আমন্ত্রণে “কবি মোহীত উল আলম এর একক কবিতাসন্ধ্যা”য় নিয়ে গেলেন রফিক নিজেই। তাঁর আমন্ত্রণে সাত বছর আগে বগুড়া লেখক চক্রের একটি জাতীয় অনুষ্ঠানে আমি উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। কাজেই এদের সঙ্গে আমার খুব খাতির। বিশেষ করে আমার বেহাই বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা তৌফিকুল আলম টিপু বগুড়ার নমস্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সে কারণে তাঁদের মধ্যে যাঁরা বরিষ্ঠজন তাঁরা আমাকে ‘বেহাই’ হিসেবেও সম্বোধন করছিলেন বলে লক্ষ করছিলাম। খুব চমৎকার একটা কাব্যসন্ধ্যা গেল। লাইভ ভিডিও হয়েছিল, উৎসাহীজন এটি আমার টাইমলাইনে বা ইসলাম রফিকের টাইমলাইনে দেখতে পারেন। আমি আমার পঞ্চম ও ষষ্ঠ কবিতার বই, যথাক্রমে “ইউনিকোডের ইলশেগুড়ি” ও “মানুষেরা ফিরে যায় দীর্ঘশ্বাসে” বই দুটো থেকে কিছু কবিতা পড়লাম। তাঁরাও কয়েকজন আমার কবিতা পাঠ করলেন। আমার কবিতা যখন অন্যরা পাঠ করেন, তখন মনে হয় ‘এত সুন্দর’ কবিতাটি কি আমি লিখেছিলাম! ইসলাম রফিককে আন্তরিক ধন্যবাদ সহ বিরাট ‘হাগ’।
=শেষ=
২৪ ডিসেম্বর ২০২১