নেত্রকোণায় হারভেস্টর ক্রেতাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
মেহেদী হাসান আকন্দ, নেত্রকোণা : নেত্রকোণার মদনে ধান কাটার যন্ত্র এসিআই মটরস’র কম্বাইন্ড হারভেস্টরের ক্রেতাদের মিলন মেলা ও উদ্যোক্তার কথা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১০ টায় মদন উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে এসিআই মটরস’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন ও খালিয়াজুরি উপজেলার ১৩০জন এসিআই মটরস’র কম্বাইন্ড হারভেস্টর ব্যবহারকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত উদ্যোক্তার কথা ও মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার এ কে এম শাজাহান কবির, মদন উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান, সেলস্ এক্সিকিউটিভ অফিসার, এসিস্ট্যান্ড প্রোডাক্ট ম্যানেজার এ কে এম রাইসুল আলম খান, বিভিন্ন উপজেলার কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাগণ, এরিয়া হেড মো: আল মামুন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো: তাজনুর ইসলাম, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো: আলমগীর হোসেন, রিকোভারী এরিয়া ম্যানেজার মো: আলিম, সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার মো: আব্দুর রহমান, মার্কেটিং অফিসার আজিমুল হাসান, মাসুম আহম্মেদ, রিকোভারি অফিসার ফরহাদ হোসেন, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো: আসলাম, পার্টসেস অফিসার মো: রাকিব হোসেন, সিনিয়র টেকনিশিয়ান মোঃ: বিপ্লবসহ ১৩ জন টেকনিশিয়ানের অভিজ্ঞ টিম, ডিলার মো: শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
অুনষ্ঠানে ধান কাটার যন্ত্র এসিআই মটরস’র কম্বাইন্ড হারভেস্টর ব্যবহারকারীরা এসিআই মটরস’র কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা ও হারভেস্টর ব্যবহার করে তাদের সফলতার বিষয়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। এসিআই মটরস’র কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ^াস প্রদান করেন। কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, কম্বাইন্ড হারভেস্টরে ধান কাটার ক্ষেত্রে তিনটি সুবিধার কথা বলছেন কৃষক ও যন্ত্র বিপণনকারীরা। প্রথমত, হারভেস্টর দিয়ে দ্রুত ধান কাটা যায়। শ্রমিকের অভাব কোনো সমস্যা তৈরি করে না। দ্বিতীয়ত, হারভেস্টরে খরচ সাধারণ পদ্ধতিতে ধান কাটার প্রায় অর্ধেক। তৃতীয়ত, হারভেস্টরে কাটলে ফসলের ক্ষতি অর্ধেকের নিচে নেমে আসে। সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো, যেসব কৃষি উদ্যোক্তা অথবা কৃষক সমিতি হারভেস্টর কেনে, তাদের মোট দামের অর্ধেক ভর্তুকি দেয় সরকার। হাওরে এটা ৭০ শতাংশ। এর মানে হলো, জাপানের একটি ব্র্যান্ডের একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর ২৮ লাখ টাকা দিয়ে কিনলে সরকার ১৪ লাখ টাকা দেয়। হাওরের কৃষকেরা ভর্তুকি হিসেবে পান ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর চীনা একটি ব্র্যান্ডের একটি হারভেস্টর ২০ লাখ টাকা দিয়ে কিনলে কৃষক ভর্তুকি পান ১০ লাখ টাকা।