নির্ধারিত সময়েই যান চলবে বঙ্গবন্ধু টানেলে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেলের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ। স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়েই যান চলবে এই টানেল দিয়ে। সেই লক্ষ্যে বাড়ানো হয়েছে কাজের গতি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি- এখনো কাজের ১৮ শতাংশ কাজ বাকি থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যান চলাচল করবে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টানেল দিয়ে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। এখনো প্রায় নয় মাস হাতে সময় রয়েছে। আশা করছি এ সময়ের মধ্যেই চালু হবে স্বপ্নের টানেল।’
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে শিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করতে বাড়ানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজের গতি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশকে যান চলাচলের উপযোগী করতে দেশি-বিদেশি শ্রমিকরা ব্যস্ত বিরামহীন কর্মযজ্ঞে। মধ্য মার্চ পর্যন্ত টানেলের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ। প্রথম টিউবের ২৪৫০ মিটার ‘ল্যান্ড স্ল্যাবের’ কাজ শেষ হওয়ার পর চলছে ‘সেন্ট স্ল্যাবের কাজ। টানেলকে যান চলাচলের উপযোগী করতে ল্যান্ড স্ল্যাবের ওপর দেওয়া হচ্ছে এক ফুট উচ্চতার পাথরের আস্তরণ। ২৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য দ্বিতীয় টিউবের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় টিউবের মধ্যে ৭০০ মিটার কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ ছাড়া দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক, ওভার ব্রিজ এবং সড়ক সম্প্রসারণের কাজ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে কর্ণফুলী নদীতে তৈরি হচ্ছে টানেল। মেগা এ প্রকল্পের একপ্রান্তে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্র বন্দর। অপরপ্রান্তে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। বিভক্ত দুই অংশকে সাংহাইয়ের আদলে একই সুতোয় যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পের যৌথ অর্থায়ন করছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
প্রকল্পটি পুরোদমে চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতি। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে শিল্পকারখানা ও পর্যটন শিল্পের। টানেল পুরোদমে চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার গাড়ি চলাচল করবে। প্রতি বছর ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে যান চলাচল। এ হিসাবে ২০৩০ সালে কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যান চলাচল করবে গড়ে ৩৮ হাজার। ২০৪০ সালে তা বেড়ে হবে ৬২ হাজার এবং ২০৬০ সালে টানেল দিয়ে দৈনিক গড়ে যান চলাচল করবে ১ লাখ ৩০ হাজার।