ভোজ্যতেল সিন্ডিকেট ধরতে মাঠে গোয়েন্দারা

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : অসাধু একটি সিন্ডিকেট কারসাজি করে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সিন্ডিকেটে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিযোগিতা কমিশনের একটি বিশেষ গোয়েন্দা টিম গত সপ্তাহ থেকে এই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ, কোনো সিন্ডিকেট জড়িত কি না– এসব বিষয় তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন গোয়েন্দারা। পরবর্তী সময়ে ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

করোনা সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেলের (সয়াবিন, পাম অয়েল) দাম বেশি বেড়েছে। এক বছর ধরেই ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত মার্চে এর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত সরকার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভোজ্যতেলের উৎপাদন, ভোক্তা ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছাড় দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তার পরও বাজারে এর প্রভাব সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। রমজানে ভোক্তা আগের দামেই অর্থাৎ প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় দেশেও পণ্যটির দাম বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বিশ্ববাজার অপেক্ষা দেশীয় বাজারে দাম অনেক বেশি বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে কেন বেশি দাম বাড়াল, এর পেছনে কোনো সিন্ডিকেট চক্র কাজ করছে কি না– এসব বিষয় অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।

ভোজ্যতেল আমদানি ও বাজারজাতকারী স্থানীয় বড় বড় প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন, সরবরাহ ও মজুতের তথ্য তলব করেছে প্রতিযোগিতা কমিশনের গোয়েন্দা টিম। একই সঙ্গে ওই সব প্রতিষ্ঠানের মিল সরেজমিন পরিদর্শনে যাবেন তারা। ইতোমধ্যে তারা তিনটি মিল পরিদর্শন করেছেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.