ইবিতে ছাত্রী হয়রানির অভিযোগে বাসচালককে মারধর
আবির হোসেন, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাড়ায় চালিত এক বাস চালকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টার বাসে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে তার সাথে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর। এই ঘটনার জেরে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তার সহপাঠীরা অভিযুক্ত বাসচালককে মারধর করে।
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, ভুক্তভোগী ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি প্রতিদিন বাস থেকে যেখানে নামেন বাসচালক সেই জায়গা চেনেন এবং প্রতিদিন তাকে সেখানেই নামিয়ে দেন। গতকাল বিকাল ৪ টার বাসে ক্যাম্পাস থেকে শৈলকূপা যাওয়ার সময় তাকে ঐ স্থানে না নামিয়ে দিয়ে বাসচালক কিছুদূর সামনে এগিয়ে যায়। এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চালক রিপন হোসেনেকে বাস থামাতে বলে এবং বাস থামলে তিনি নেমে যান। নেমে যাওয়ার পরে ওই বাসচালক তাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ বাসে থাকা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অপর দুই সহপাঠীর। পরে তারা বিষয়টি ভুক্তভোগীকে অবগত করেন। কিন্তু এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী তার বান্ধবীরা কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে, গতকালের ঘটনার জেরে আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ওই বাসের চালককে মারধর করে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা। বাসটি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা মাত্রই বাসের চালকের উপর চড়াও হয় তারা। এসময় তারা বাসচালককে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বাসচালককে ঘটনাস্থল থেকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। এসময় উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর সাথে কোনো ড্রাইভার খারাপ ব্যবহার করবে এটা কখনোই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা সকলে মিলে বিষয়টির সমাধান করেছি এবং তাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তিনি যদি ভুল করেও থাকেন তাহলে তাকে এভাবে মারধর করা উচিত হয়নি। তারা বিষয়টি আমাকে জানালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। কিন্তু তারা আইন নিজে হাতে তুলে নিয়েছে।’