“প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সম্মেলন জোটেনি রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের।”

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে,ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে দেশের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অনস্বীকার্য অবদান রাখা ছাত্র সংগঠনটির নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র শ্বশুরালয় রংপুরের পীরগঞ্জে অবস্থিত,রংপুরের সন্তান বঙ্গবন্ধু’র দৌহিত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় শেখ হাসিনার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।সেদিক বিবেচনায় রংপুর অবশ্যই আওয়ামী রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

একথা অনস্বীকার্য ছাত্রসমাজের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা ব্যতীত দক্ষ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের পথ অনেকাংশেই গতিহীন হয়ে পরবে।
ছাত্রসমাজের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাওয়া এবং ছাত্র নির্ভর সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রংপুর মহানগর শাখা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি সম্মেলন পায়নি।যেখানে সম্মেলন একটি সংগঠনের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য ও মেলবন্ধনের সেতু হিসেবে বিবেচিত সেখানে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগে সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র পরিলক্ষিত হয়।
রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা কমিটি ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর কেন্দ্র থেকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণসম্পাদক সিদ্দিকি নাজমুল ইসলাম প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রদান করেন। পরবর্তীতেও সম্মেলনের সৌন্দর্যকে পাশ ফিরিয়ে কেন্দ্র থেকেই উক্ত কমিটিকে বিলুপ্ত করে পুনরায় ২২শে জুলাই ২০১৫ ইং প্রেসরিলিজের মাধ্যমে শফিউর রহমান স্বাধীনকে সভাপতি এবং শেখ আসিফ গোসেনকে সাধারণসম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

দীর্ঘ ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে নেতৃত্বের কোনরুপ পালাবদল আসেনি রংপুর মহানগর ছাত্রলীগে এর ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

বর্তমান কমিটির সভাপতি স্বাধীন সরকারি চাকুরী (ষ্টেশন মাস্টার)পদে যোগদান করে সরকারি চাকুরীর বেতনভাতা সহ সকল সুযোগসুবিধা ভোগ করছে,বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী জেলার পাকশিতে কর্মরত রয়েছেন।সভাপতিহীন সংগঠন এবং সম্মেলন ছাড়া কমিটির ধারাবাহিকতা আর চায়না বলে জানিয়েছেন নগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতা কর্মী।তারা জানায় বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হোসেইন সাদ্দাম ও সাধারণ-সম্পাদক শেখ ইনানের প্রতি তারা যথেষ্ট আস্থাশীল যে,সংগঠনকে এ বেহাল অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত একটি উৎসবমুখর সম্মেলনের মাধ্যমে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের একটি দক্ষ ও শক্তিশালী কমিটি উপহার দিবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সভাপতি হুসেইন সাদ্দাম ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বক্তব্যে সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আওয়াতাধীন সকল শাখা কমিটি গঠন করা হবে বলে নেতাকর্মীদের জানান।
রংপর মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আরও জানান রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ইতিমধ্যে কয়েকবার অনুষ্ঠিত হয়েছে,অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোও সম্মলনের মাধ্যমে গতিশীল থাকলেও সম্মলন জোটেনি কেবল রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.