হোটেল তাজ ও ভিভান্তার বাংলাদেশে যাত্রা শুরু

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আইকনিক হোটেল ‘তাজ’ ও ‘ভিভান্তা’। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরাটনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড (বিআরইএল)। অনুষ্ঠানে বিআরইএল ও ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহা. নূর আলী বলেন, বাংলাদেশে হোটেল ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করবে তাজ এবং ভিভান্তা। এ যাত্রা আমাদের অর্থনীতি ও জিডিপিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

জমকালো এ অনুষ্ঠানে বিআরইএলের পক্ষে এমডি মোহা. নূর আলী এবং দ্য ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লিমিটেডের (আইএইচসিএল) পক্ষে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমা ভেঙ্কটেশ এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল কাউন্সেল রাজেন্দ্র মিশ্র চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় আইএইচসিএলের অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রোহন রানাডে এবং বিআরইএলের চেয়ারপারসন সেলিনা আলী উপস্থিত ছিলেন। চুক্তির অধীনে ভারতের শীর্ষস্থানীয় এ প্রতিষ্ঠানটি বিআরইএলের সঙ্গে যৌথভাবে এ দুটি হোটেল পরিচালনা করবে রাজধানীর গুলশানে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মোহা. নূর আলী আরও বলেন, এ দুটি হোটেল থেকে সরকার বছরে এক থেকে দেড়শ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে এবং এখানে প্রায় দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকা বাংলাদেশে হসপিটালিটি ব্যবসার কালচার বদলে দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, আমরা তাজ ও ভিভান্তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু শিখতে পারব।

এ সময় মোহা. নূর আলী আরও বলেন, তাজের আতিথেয়তা, সেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও অন্য অনেক কিছুই আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা শাড়ির মতো পণ্য কিনতে ভারতে যান। আমি নিশ্চিত, তাজ ও ভিভান্তার ভবনটি শুধু ৩৬০ কক্ষের একটি বিল্ডিংই নয়, এখানকার জুয়েলারিসহ অন্যান্য দোকানও ভালো চলবে। আমাদের দেশের মানুষ এখানে এসে ভারতের স্বাদ পাবেন।

তিনি জানান, তাজ এক লাখ দশ হাজার মানুষকে সেবা দেবে। দোকান ও রেস্তোরাঁয় আতিথেয়তা পাবে দেড় লাখ থেকে দুই লাখ অতিথি।ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি-র মালিকানাধীন কোম্পানি ইউনিক গ্রুপ ও বিআরইএল। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় হোটেল অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান পাঁচতারকা হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, শেরাটন ঢাকা এবং চারতারকা বুটিক হোটেল হানসা সফলভাবে পরিচালনা করছে এ কোম্পানিটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ঐতিহ্য ও ইতিহাস রয়েছে। প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আবদ্ধ আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে সহযোগিতা বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের স্বনামধন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষরিত আজকের (গতকাল) চুক্তিটি পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে আমাদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে দেবে। এটি আমাদের উপমহাদেশীয় আতিথেয়তা ও সংস্কৃতি যৌথভাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার সুযোগ দেবে।

ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির সিইও শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাজ ও ভিভান্তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএএবির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমদ প্রমুখ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.