কাপ্তাই ডংনালায় পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই

0

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে : কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ডংনালায় মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সাংগ্রাই উৎসব।

ডংনালা সুশীল সমাজ উদ্যোগে ২১ এপ্রিল সাংগ্রাঁই ও পিঠা উৎস অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ডা.মংউষাথোয়াই মারমা। এসময় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাঁইও পিঠা উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠান শুরুতে একটি মঙ্গল শোভযাত্রা বের হয়। পরে মারমাদের নানান রকমারি তৈরী জুম চাষ করা চালের বিন্নী চাল পিঠা পরিদর্শন করে প্রধান অতিথি।

রেমংপ্রু মারমা সঞ্চালনা মংনুচিং মারমা স্বাগত বক্তব্যে’র মাধ্যমে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ডা. মংউষাথোয়াই মারমা। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের সুস্বাদু পিঠা সবার কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরাও ডংনালার গ্রামেগঞ্জে ছুটে আসেন এসব পিঠা খেতে। আর পিঠা বানিয়ে সংসারে বাড়তি আয়ের যোগান দিচ্ছেন এখানকার নারী ও কিশোরীরা। এখানকার নির্ধারিত কোন দোকানে মারমা পিঠা বিক্রি না হলেও শীতের মৌসুমে এভাবেই রাস্তার ধারে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন মারমা সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা। বিক্রি করেন ছেছমা পিঠা, কদা মু পিঠা, কেইন্দা মু পিঠা, গেয়াংমু পিঠা, রেপ্রিমুসহ নানান ধরনের মারমা পিঠা। এখানকার অনেক বেকার যুবকই এখন পিঠা বিক্রি করে বেশ ভালো আয় করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এসব পিঠা তৈরি করে মারমা বেকার যুবক-যুবতিরা লাভবান হচ্ছে, দিন দিন এ পিঠা জনপ্রিয় হচ্ছে আর পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।’ মারমা সম্প্রদায়ের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পিঠা হলেও এসব পিঠা জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাই পছন্দ করেন। এসব পিঠার বেশ কদর পর্যটকদের কাছেও। সেসময় আরও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মংসুইখই মারমা,বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাইদোঅং মারমা, মোঃ আবু জাফর প্রমুখ। পরে মেলা প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী খেলা তরুণ তরুণীদের রশি টানা টানি ও চোখ বাধা অবস্থায় হাঁস ধরা খেলা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন হাজারো নারী পুরুষ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.