রিন্টু সুত্রধর রিকি বিশ্ব কবিমঞ্চে’র সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার সমন্বয়কারী
জাহিদ হাসান নিশান : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা গুলো লিখতে গিয়ে লিখেছিলেন “যে আছে মাটির কাছাকছি সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি। ” কাকতালীয় ভাবে যখন রবীন্দ্রনাথ কথাগুলো লিখছিলেন তখনই জন্মগ্রহণ করেন নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। কবিগুরু উপলব্ধি করেছিলেন কবিতাকে আরও মাটির কাছাকাছি হতে হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের অন্তরে সুখ-দুঃখের কথা ও কবিতা উপলব্ধি করতে হবে। কবিগুরুর এই উপলব্ধি কে সম্মান জানিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বিশ্ব কবিমঞ্চ’। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যে সব কবিরা সত্যিকার অর্থে মাটির কাছাকাছি রয়েছেন সেইসব প্রগতিশীল কবিদের একটি পূর্ণতম মঞ্চ হচ্ছে” বিশ্ব কবিমঞ্চ “।
দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব কবিমঞ্চ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেদের অবস্থান করেছেন শক্ত। ‘ বিশ্ব কবিমঞ্চ’ বাংলা কবিতা ও বাঙালি কবিদের বিকাশ ও প্রসারে বহুদিন কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও দেশের বাইরে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কবিমঞ্চের শাখা রয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাঁদের একটি শাখা খুলেছেন ৷
সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার সমন্বয়কারী হয়েছেন হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান দক্ষ সংগঠক কবি ও গীতিকার রিন্টু সুত্রধর রিকি। রিন্টু সুত্রধর রিকি’র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান; ”সারাপৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষীদের কাছ থেকে বাংলার মা, মাটি শেকড়ের কবিতা যেন বিদেশ বিভূঁইয়ের মাটি থেকে হারিয়ে না যায়, এবং বাংলা কবিতা ও কবিদের বিকাশ ও প্রসার করে এবং নতুন প্রজন্ম যেন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল কবিতা ভান্ডার ও তার ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, এবং দেশত্ববোধ ও শেকড়কে না ভুলে বাংলা কবিতা যেন বিশ্ব-দরবারে পৌঁছে যায় সেই স্বপ্ন আর প্রত্যাশা থেকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাবো। আমাকে এতোবড় একটা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ একটা দ্বায়িত্বের জন্য আমাকে মনোনীত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি “বিশ্ব কবিমঞ্চ”র প্রধান উপদেষ্টা ড. কবি সৈয়দ আজিজ প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব কবিমঞ্চ’ কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ মহোদয় কে এবং ‘পুলক কান্তি ধর’ আহ্বায়ক ‘বিশ্ব কবিমঞ্চ’কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশকে।”