৬০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করা হচ্ছে
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির দু’টি প্রস্তাবসহ পাঁচটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৫৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৯.১৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০৪ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
সভায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত’ থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১১ শ’ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০৪ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
জানা গেছে, ‘সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর’ টোল আদায়কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতায় ‘সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর’ টোল আদায়ের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড’-এর (সিএনএসএল) সাথে চুক্তির মেয়াদ (৫ বছর ৩ মাস) ৩১ মে শেষ হবে। নতুন সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োগের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল (আরএফপি) ইস্যু করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান-ই প্রস্তাব দাখিল করে। সব কয়টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড’-কে আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সভায়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর রোড ট্রান্সপোর্ট কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটি’ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে যৌথভাবে- এসএমইসি; ওসিজি; ডিওএইচডব্লিউএ; আয়াস্ত্র; এসিই জেস ও ডিডিসি। এতে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
সভায় ১২টি নন-সিআরইউ কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্টের জন্য কাঁচামাল হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল-রিচ কনডেনসেট আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএসটিআই নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী জ্বালানি তেল উৎপাদন করতে সক্ষম না হওয়ায় বন্ধ হওয়া ১২টি নন-সিআরইউ প্ল্যান্ট আবার চালু করার লক্ষ্যে কাঁচামাল হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল-রিচ কনডেনসেট আমদানির জন্য জি-টু-জি তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। প্রস্তাবটি আন্তর্জাতিক বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার ‘পিটি ভূমি সিয়াক পুসাকু জাপিন’ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল-রিচ কনডেনসেট সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ২৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জি-টু-জি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে’ এলএনজি ক্রয়ের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিকে, অন্যান্যবার সরকারি ক্রয় কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সম্পকির্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের অনুমোদন পাওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়। কিন্তু গতকাল কোনো সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়নি।