দুর্ঘটনার কারণ ও স্থান শনাক্তে কাজ করছে জাইকা
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে রমনার পর আরও সাতটি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কাজ করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এরই মধ্যে ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু করেছে জাইকা। পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি ট্রাফিক বিভাগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ডিএমপির সঙ্গে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় এ কার্যক্রম শুরু করেছে জাইকা।
সোমবার (১২ জুন) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ডিআরএসপির তৃতীয় যৌথ সমন্বয় কমিটির সভায় দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান শনাক্তসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। সভায় বক্তারা ঢাকা শহরে সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
সভা শেষে ডিআরএসপির পরিচালক ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঢাকা শহর চ্যালেঞ্জিং জায়গা। কারণ, ঢাকায় বহুবিধ যানবাহন চলাচল করে। কোনটা ধীরে আবার কোনোটা দ্রুতগতিতে। যন্ত্রচালিত ও যন্ত্রবিহীন সব যানবাহনই এখানে চলে।
তিনি বলেন, ঢাকায় একেক জায়গার রাস্তার ধরনও একেক রকম, যানবাহনও একেক রকম। ফলে রাস্তায় বের হওয়া সাধারণ মানুষের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে একটু ধারণা থাকলে নিজের সেফটি সিকিউরিটিসহ তা অন্যদের জন্যও ভালো হবে। ন্যূনতম সচেতনতা যেন সবার মধ্যে তৈরি হয় এজন্য স্কুল পর্যায় থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ডিআরএসপির সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ প্রজেক্টের তিনটি আউটপুট আছে। সেফটি অ্যাডুকেশন, ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্ট এনালাইসিস ও ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট বাস্তবায়ন। ট্রাফিকের বেসিক রুলসই হচ্ছে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডুকেশন। ঢাকা শহরে দুই কোটির বেশি মানুষের বাস। তারা সবাই ট্রাফিকের স্টেক হোল্ডার। সবাই কিন্তু রাস্তায় বের হয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আওতায় চলে আসে।
সভায় ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি), মিডিয়ার উপ-পুলিশ কমিশনার ও ডিআরএসপির সঙ্গে যুক্ত জাইকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) বাস্তবায়ন করছে। ডিআরএসপি হলো তিন বছরের জন্য একটি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্প, যার লক্ষ্য ঢাকায় ব্যাপক ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপির সক্ষমতা জোরদার করা।