আমার জন্য সহযোগিতা করার কি কেউ নেই,চলতে না পারলে স্বপ্ন পূরণ করবো কিভাবে
নিজস্ব প্রতিনিধি : আমার জন্য সহযোগিতা করার কি কেউ নেই,চলতে না পারলে কিভাবে স্বপ্ন পূরণ করবো।আমি তো ঠিকভাবে চলতে পারিনা,পা নেই বলে ঠিক ভাবে হাটতে পারছিনা,পড়ালিখা ব্যহত হচ্ছে।আমার স্বপ্ন পূরণ হবে তো। চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়,হাতে লাঠির ভর দিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়, চলাচলের এই বাধায় যে আমার স্বপ্ন পূরণে বাধা।
এমন ভাবেই প্রতিবেদককে বলতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাবী এক শিক্ষার্থী।মেধাবী এই শিক্ষার্থীর পা নেই বলে স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারে না।কৃত্রিম পায়ের আর্থিক খরচ মেটাতে না পারায় ওই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার । বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম তামান্না ইয়াসমিন।সে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়ন সাহাপুর গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসার পাশে আবু দাউদ এর মেয়ে।
তিন সন্তানের পিতা আবু দাউদ পেশায় একজন মুদি দোকানদার।দারিদ্র আর্থিক দৈন্যতা এই পরিবারের জীবন কোন ভাবে কেটে যায়। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তামান্না সবার বড়।সে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ সালের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।আবু দাউদ জানান,আমার মেয়ের বয়স যখন ২ বছর ৬ মাস তখন সড়ক দুর্ঘটনায় তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। এরপর থেকে হাতে লাঠির উপর ভর করে চলতো।অভাবের সংসারে মেয়ের জন্য কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করতে না পারায় মেয়েটার ভবিষ্যত নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।তামান্না জানান, ভারতীয় একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে একবার কৃত্রিম পা পেয়েছিলাম, সে পা দিয়েই এতোদিন চলতে ছিলাম।বাড়ন্ত বয়স থাকায় পা ছোট হয়ে গেছে। ডাক্তার এই পা খুলে একটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে নিতে বলেছেন।সংসারে অভাব অনটন থাকায় বাবা এই ব্যয়ভার বহন করতে পারছেনা। ৫০-৬০ হাজার টাকা হলে আমার হয়তো একটা পায়ের ব্যবস্থা হতো।আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারতাম।আর ও জানান, আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে দের মাস আগে পাবনা জেলা পরিষদ বরাবর একটি আবেদন করেছিলাম।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সাহায্যের আবেদন টি বাতিল করা হয়েছে। আমার ইচ্ছে ছিলো পড়ালিখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হবো। এখন কৃত্রিম পা না থাকলে কিভাবে চলবো,আমার স্বপ্ন কিভাবে পূরণ করবো।
এসময় তামান্নার পরিবার সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার কামনা করেন। এলাকাবাসী থেকে জানা যায়,তামান্না ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছাত্রী ছিলো।দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় সংগ্রাম করে পড়ালিখা করেছেন।অভাবের সংসারে তার বাবাই একমাত্র কর্মক্ষম।আর্থিক দৈন্যতার মধ্যেই তার বাবা মা পড়ালিখা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।পা হারানো এই মেধাবী শিক্ষার্থী বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।