র্যাবের অভিযানে সিরাজগঞ্জ হতে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ জেএমবি সংগঠনের ০৪ জন সক্রিয় জঙ্গী সদস্যদেরকে গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি : র্যাবের অভিযানে সিরাজগঞ্জ হতে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ জেএমবি সংগঠনের ০৪ জন সক্রিয় জঙ্গী সদস্যদেরকে গ্রেফতারসহ অস্ত্র, বোমা তৈরীর সরঞ্জাম, জিহাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার
১।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য ।অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের মূল হোতা ও সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে অভ্যন্তরীন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তায় অন্য নাম হিসাবে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জঙ্গী/উগ্রপন্থী গোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পুণরায় সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র্যাব সদা জাগ্রত। কিছু বিপথ গামী লোক ধর্মীয় অপব্যখ্যার মাধ্যমে যুব সমাজকে জঙ্গীবাদের দিকে অগ্রসর করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব এ সমস্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২ এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল ২০/১১/২০২০ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার উকিলপাড়া হতে জেএমবি সংগঠনের শীর্ষ সক্রিয় সদস্য (১) মো- আতিউর রহমান (১৯), পিতা- মো- মানিক হোসেন, গ্রাম-শশরাসাহাপাড়া, থানা-কোতআলী, জেলা-দিনাজপুর ২। মো- শামীম হোসেন @ কিরণ (১৯), পিতা- মো- মোখলেছুর রহমান, সাং-দাড়ামুধা, থানা-সাথিয়া, জেলা-পাবনা, ৩। মো- নাইমুল ইসলাম (২৫), পিতা- মো- আবু তালেব, সাং-দাড়মুধা, থানা-সাথিয়া, জেলা-পাবান ৪। মো- আমিনুল ইসলাম শান্ত (২০), পিতা-বজলুর রহমান, সাং-দক্ষিন নলতা, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য অপর একটি পৃথক অভিযানে একই দিনরাত ১২.৩০ ঘটিকায় রাজশাহীর জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাহমুদকে গ্রেফতার করা হলে তার দেয়া তথ্য মতে উক্ত আস্থানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃত জঙ্গী সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শামীম হোসেন @ কিরণ রাজশাহী জেএমবির আঞ্চলিক কামান্ডার মাহমুদের সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের আঞ্চলিক নেতা। তারা জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে জেএমবির কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সংগঠন পরিচালনার জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। তারা তাদের পরিচয় গোপন করে তাবলিক জামায়েতের ছদ্ম বেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সম্প্রতিক সময় নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্য শাহজাদপুরের উকিল পাড়ায় অস্থায়ী ভাবে ০১টি বাসা ভাড়া নেন এবং অস্ত্র সংগ্রহসহ বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদী ক্রয় করে বোমা তৈরী করার প্রক্রিয়া রপ্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তারা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ০৫ রাউন্ড ফায়ার করেন। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ০২ টি বিদেশী পিস্তল , ০২টি ম্যাগাজিন, ০৪ রাউন্ড গুলি (ফায়ারকৃত কার্তুজ), দেশীয় অস্ত্রসহ বোমা তৈরীর বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ ধরণের জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান সচল রেখে সন্ত্রাসমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলা গঠনে র্যাব বদ্ধপরিকর।