পাবনায় পেট্রোল পাম্পে ভয়াবহ আগুন; এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

0

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা একটি পেট্রোল পাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে পাবনা শহরের রাধানগর এলাকায় ফরিদ ফিলিং স্টেশনে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন আলম জানান, ঘটনার সময় জ্বালানীবাহি একটি লড়ি এসে ফরিদ ফিলিং স্টেশনে তেল খালাস করছিলো। গাড়ির চালক পাম্পের ভেতরে কাউন্টারে বসেছিলেন। তেল খালাস প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় পাম্পের এক কর্মচারী সেখানে এসে সিগারেট ধরায়। সেখান থেকেই আগুনে সুত্রপাত ঘটে।

তখন লড়ির হেলপার পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়ি চালিয়ে সড়কের উপর রেখে দ্রæত নেমে যায়। ততক্ষণে পেট্রোল পাম্পের ভেতরে ও লড়িতে আগুন ধরে যায়। ধীরে ধীরে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় কয়েকটি বিকট শব্দ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও পাম্প মালিক। তবে তেল পাম্পের ভেতরে প্রায় সবকিছুই এবং তেলবাহী লড়িটি পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ ফরিদ ফিলিং স্টেশনের মালিক ফিরোজ আহমেদ বলেন, আগুনে লাগার কিছুক্ষণ আগে আমি এখান থেকে চলে গেছি। রাস্তায় থাকতে শুনি আগুন লাগার ঘটনা। এখন কোথা থেকে কিভাবে আগুন লেগেছে এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। সবকিছু স্বাভাবিক হলে সব জানার চেষ্টা করবো। ক্ষতির পরিমাণও আপাতত বলা যাচ্ছে না।

র‌্যাব-১২, পাবনার ডিএডি নাকিব সাদেক বলেন, ঘটনার সময় তারা পেট্রোল টিম নিয়ে ওইদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের নজরে আসে আগুন লাগার ঘটনা। তখন দ্রæত তারা রাস্তা বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নেন তারা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সবার সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা।

পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শারফুল আহসান ভুঁইয়া বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে ৯৯৯ এ কল আসে ফরিদ ফিলিং স্টেশনে আগুন লাগার বিষয়ে। তখন দ্রæত আমার স্পটে যাই এবং আগুনের ভয়াবহতা বেশি থাকায় আশপাশের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সহযোগিতা চেয়ে মেসেজ দেয়া হয়। তখন সবমিলিয়ে সাতটি ইউনিট এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কিভাবে আগুন লাগলো ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে বলা যাবে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, তেল পাম্প হওয়ার কারণে ঝুঁকি ও ভয়াবহতা বেশি ছিল। আগুন নেভাতেও সময় লেগেছে। তবে, বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কোথা থেকে কিভাবে আগুনের সুত্রপাত এগুলো অনুসন্ধান চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.