এক ইসরাইলির পুরস্কার গ্রহণ করে ড. ইউনূস গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন:

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী হয়েও ড. ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ রয়েছেন। আর একজন ইসরায়েলির দেওয়া পুরস্কার নিয়েছেন। এটা করে তিনি প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন। ইউনূস সেন্টার এটিকে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে মিথ্যাচার করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারে আমি বিস্ময়ে হতবাক। সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ভাস্কর, যিনি ইসরায়েলি নাগরিক, তিনি ড. ইউনূসকে একটি পুরস্কার দিয়েছেন। এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। ইউনূস সেন্টার যেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে মিথ্যা ও অপপ্রচার করেছে। তবে এটি প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু গাজায় আজ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এটি নিয়ে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি বা প্রতিবাদ করেননি। বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ : এ সময় ২৫ মার্চ মধ্যরাতে লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজিবির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং সীমান্তে ফ্ল্যাগ মিটিংও হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন অনেকদিন ধরেই আমরা ভারতের সঙ্গে এ বিষয়টি আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি ভারত সফরের সময়ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেই প্রেক্ষিতে সীমান্তে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। রাবার বুলেটে অনেকে আহত হন, কিন্তু প্রাণহানি কমে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রাণহানিকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা।

নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা ও যোগাযোগ অব্যাহত : সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহজকে মুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি এবং আমাদের উদ্দেশ্য হলো নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা। জাহাজ উদ্ধার করা। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.