ছাত্রদের পড়াশোনাও করতে হবে রাজনীতিও করতে হবে
হীরেন পণ্ডিত : আমি রাজনীতি করি না, রাজনীতি ভালো লাগে না ভেংচি মেরে বলা এই কথাটা, এই মনোভাব নিয়ে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম দেশের জন্য বিপজ্জনক। রাজনীতির হাজারো সমস্যা আছে, থাকতেই পারে। তারপর আমাদের বিশ্বাস রাজনীতিই আমাদের শেষ ভরসা। রাজনীতি কিন্তু আসলে বন্ধ থাকে না। বরং সুস্থ রাজনীতির শূন্যতা পূরণ করে অপরাজনীতি ও অপশক্তি। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছে। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই আমাদের ভাষা আন্দোলন হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস আসলে ছাত্রলীগেরই ইতিহাস। তবু ছাত্রলীগকেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেই বুকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে, রাজনীতি করতে হবে।
ছাত্ররা একটি জাতির ভবিষ্যৎ। যে ছাত্র এখন ন্যায়-নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, সেই একদিন হয়ে উঠতে পারে জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের কারিগর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে ছাত্র সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে অগ্রগণ্য। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যূদয়ের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সকল শৃঙ্খল, অন্যায়-অবিচার ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তির সুতিকাগার হয়ে উঠেছে ছাত্র আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।
গ্রীক মনীষী এরিস্টটল বলেছেন, ‘মানুষ স্বভাবতই সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব এবং যে সমাজে বাস করে না সে পশু না হয় দেবতা”- আবার বলেছেন ‘মানুষ যখন পারফেক্ট বা বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞানসম্পন্ন হয় তখন সে প্রাণীদের মাঝে সর্বোৎকৃষ্ট, আবার যখন সে আইন শৃঙ্খলা থেকে আলাদা হয়ে যায় তখন সে নিকৃষ্টতম প্রাণী’। জ্ঞানীদের গুরু নামে খ্যাত সক্রেটিসের একটি উক্তি আছে রাজনীতি বিবর্জিত মানুষের আত্মা নেই। যাদের আত্মা নেই তারা তো জড়। জড় বস্তুর কোনো চাহিদা নেই, সেই কারণে তাদের রাজনীতিও নেই। কিন্তু মানুষ সরাসরি রাজনৈতিক দল না করলেও রাজনীতির বাইরে থাকতে পারে না, মেধাবীরা তো পারেই না। রাজনীতি মানে শুধু নাগরিক ও রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিই নয়, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা, ভোটাধিকার প্রয়োগ নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতাবোধও রাজনীতি।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক প্রচার অপপ্রচার, মতবাদ ব্যাখ্যা দান চলছে অহর্নিশ। দেশের ক্যাম্পাস-রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চমৎকার রাজনীতির চর্চা রয়েছে। সবসময় সচেতন মহল জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত করে দিতেই হবে, ১৯৭৫ এর পর যে মৌলবাদী ধারা চালু হয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সেখানে রাজনৈতিকভাবে তৎপর হয়ে উঠছে সেটাকে প্রতিরোধ করা। আমরা ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব গঠনের প্রমাণ দেখেছি। সামরিক শাসন কিংবা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেটা ছাত্র রাজনীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে। সুতরাং, রাজনীতির এই খোলা ময়দান বন্ধ রাখা সঠিক সিদ্ধান্ত নয় কখনো। আদালত ছাত্র রাজনীতিকে সাধুবাদ জানিয়ে রায় দিয়েছেন।
কালের আবর্তে রাজনীতি এখন অনেক জনপ্রিয় বিষয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজনীতিতেই যুক্ত হতে চায়। এই চাওয়ার কারণ রাজনীতি মানুষের সেবা করার সুযোগ দেয়। ১৯৮১ সাল থেকে এই ধারা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসার পর প্রতিনিয়ত সেই পথটাকেই বিনির্মাণ করছেন। শুধু বুয়েট নয় অনেক ভালো রেজাল্ট করা ছেলেমেয়েরা দেশ, দেশের রাজনীতি, দেশের হালচাল এসব নিয়ে ভাবে না। তাদের মাথায় ঘুরে কখন পাশ করে সার্টিফিকেট টা নিয়েই বিদেশে যাবে, ভাল থাকবে। ভাবটা এমন এই দেশে ভালো থাকা যায় না! আবার যারা বিদেশে যায় তারা আবার ইমিগ্র্যান্ট হয়ে যায় বা উচ্চ শিক্ষা নিয়ে যায়। পরে দেশে ফিরে আসেন খুব সামান্য। এমনকি তাদের খুব সামান্যই অবদান আছে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্সে।
বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপকসহ নামী-দামী পেশার বিজ্ঞ ব্যক্তিরা কতটাকা দেশে পাঠান তার পরিসংখ্যান দেখলে অনেকেই অবাক হবেন। রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার অর্জনকারী সিংহভাগ আসে আমাদের পোশাকশ্রমিক ভাইবোনদের দীর্ঘ সময়ের বিরামহীন শ্রমের হাত ধরে। আর একটা বিরাট অংশ আসে আমাদের বিদেশে কর্মরত ১ কোটি ২২ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি স্বল্প শিক্ষিত বা প্রশিক্ষণ জ্ঞানবিহীন ভাইবোনদের হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনির বিনিময়ে অর্জিত পয়সা থেকে।
বাইরের দেশে যাওয়া মানুষদের পোস্ট দেখলে মনে হবে এই সমস্ত তথাকথিত দেশে থাকা ওদের কাছে গর্বের বিষয়, সেটা যে কোন অবস্থায় হোক না কেন সম্মানের সাথে বা অসম্মানের সাথেই হোক না কেন! আর মা মাটি মাতৃভূমিকে ছোট করতে পারলে খুব খুশি হন আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন। ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন নেই বলে যারা বয়ান দেন তাদের জানা উচিত, বাংলাদেশের অনেক অর্জনই হয়েছে ছাত্রদের কল্যাণে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ধরন কেমন হওয়া উচিত বা একুশ শতকের বাস্তবতা কিংবা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্র রাজনীতির কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরি করতে হলে ছাত্র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশের ছাত্রদের যেমন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার নীতি-নির্ধারণ সম্পর্কে দক্ষতা লাভ করতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা করতে হবে, তবে দেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার চেতনার সাথে কোন আপোস নেই। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ধরন কেমন হওয়া উচিত বা একুশ শতকের বাস্তবতা কিংবা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্র রাজনীতির কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরি করতে হলে ছাত্র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত।
স্বায়ত্তশাসন কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে একজন মানুষের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। আবার অন্যভাবে চিন্তা করলে পৃথিবীর কোন দেশে কী আছে আর কোন দেশে কী নেই, তা দেখে আমাদেও দেশে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। ঐতিহ্য রয়েছে। সংস্কৃতি রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমাদের দেশের মানুষের স্বতন্ত্র রুচিবোধ, স্বতন্ত্র সামাজিক ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং একটি দেশের সবকিছু তাদের নিজেদের মতো করেই হওয়া উচিত। তবে এটা মনে রাখতে হবে বাঙালির মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসকে অবজ্ঞা করার কোন সুযোগ নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন তা কিন্তু ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই। একইসঙ্গে একজন শিক্ষার্থী সংবিধান সম্মত চলাফেরা, মতপ্রকাশ, সমাবেশ ও সংগঠন করার যে অধিকার তা চূড়ান্তভাবে খর্ব করার অধিকারও তো কেউ কাউকে দেয়নি।
বৈষম্যমূলক-হিংসাত্মক-বিভেদের সামাজিক পরিকাঠামো চালু করার কোন সুযোগ নেই। এই ছাত্র রাজনীতি হবে আধুনিক, যুগোপযোগী, বৈচিত্র্যময়-সৃষ্টিশীল, জ্ঞান-যুক্তি-তথ্য-তত্ত¡নির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রেখে যাওয়া যে বাংলাদেশকে সবাইকে মিলে পিছিয়ে দিয়েছিল দারিদ্র্যের অন্ধকারে গত ১৫ বছরে তা আবার আলোর পথে, উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে ফিরিয়ে এনেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার পরিকল্পিত উন্নত-আধুনিক বাংলাদেশে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোপরি আমাদের সামগ্রিক ছাত্র রাজনীতি কোনোভাবেই পশ্চাৎপদ ধারায় পরিচালিত হতে পারে না। আধুনিক নিয়মতান্ত্রিক ধারার ছাত্র রাজনীতির সূচনা দেশের সব সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আছে।
কারণ শেখ হাসিনার পরিকল্পিত আগামী দিনের উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নত ও স্মার্ট ছাত্র রাজনীতি উপহার দেওয়ার জন্য মডেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে ছাত্র রাজনীতি। বুয়েট বাংলাদেশে অত্যন্ত স্বনামধন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে প্রকৌশল শিক্ষায় ও গবেষণায় দেশের সুনাম উজ্জ্বল করার জন্য বিরল কৃতিত্বের দাবিদার এ বিষয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। জাতি হিসেবে বুয়েটের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করি। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে একটা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে খাটো করে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছাত্ররাজনীতি আছে, সেখানে পড়াশোনা বলে কোনো কিছু নাই, গবেষণা বলে কোনো কিছু নাই, পাঠদান-গবেষণা এসব কোনো কিছুই সেখানে নাই! এ ধরনের কথা বলাও ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, বুয়েটের বাইরেও বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে; সেখানে ছাত্ররাজনীতিও আছে, আবার বিশ্বমানের পঠন-পাঠন ও গবেষণাও হয়।
সুতরাং নিজেকে বড় প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যকে ছোট ভাবার কোনো কারণ নাই। তবে এটাতো আমাদের জাতীয় চরিত্রের অংশ অন্যকে ছোট করতে পারলে আমরা আনন্দে আত্মহারা হই। ছাত্ররাজনীতিকে একটি নেতিবাচক ধারণা দিয়ে যেভাবে সস্তাভাবে উপস্থাপন করা হয়, তাতে করে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে শিক্ষাকে মুখোমুখি দাঁড় করে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা একটি সমাজের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য মোটেও সুখকর নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর মেধাবী রাজনৈতিক নেতা হওয়ার সম্ভাবনাকে আমরা নষ্ট করে দেই, অন্যদিকে ছাত্ররাজনীতিকে একটি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনা করার মধ্য দিয়ে সমাজের কাছে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ সম্পর্কিত একটা অত্যন্ত নেতিবাচক বার্তা আমরা নিজেদের অগোচরেই দিয়ে দিচ্ছি। ফলে রাজনীতি একটি নেতিবাচক বিষয় হিসেবে তরুণ প্রজন্মের মনে ও মননে স্থান করে নেবে, যা মেধাবী প্রজন্মকে একদিকে যেমন রাজনীতিবিমুখ করে তুলবে, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ রাজনীতিও মেধাবী মুখ হারিয়ে যাবে।
স্বাধীনতার পূর্বাপর এদেশের অনেক মেধাবীদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে দেখেছি এবং দেখছি। রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থানও এক ধরনের বিশেষ অপরাজনীতি। যে মেধা রাষ্ট্রের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সংস্কৃতি, জাতিসত্তাকে আঘাত করে সেই মেধা অবশ্যই পরিত্যজ্য। প্রকৃত রাজনীতির মাধ্যমে মননশীলতার বিকাশ ঘটে, স্বদেশপ্রেম জাগ্রত হয়। জাগ্রত হয় মানবিকতা ও সুনাগরিকতা। তাই বিরাজনীতি নয়, বরং সুস্থ ধারার রাজনীতির মাধ্যমে বুয়েট তার স্বমহিমায় অনুকরণীয় হয়ে উঠুক এই শুভ প্রত্যাশায় আমরা।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বড় বড় প্রকল্পে বা মেগা প্রজেক্টে মূল কাজটা করেন জাপান বা চীন থেকে আসা প্রকৌশলীরা। আবার বুয়েট থেকে পাস করা প্রকৌশলীদের অনেকের দাবি দেশে সঠিক মূল্যায়ন না পেয়ে বিদেশে গিয়ে অনেক বড় বড় কাজ করছেন। দেশের, মানুষের, সভ্যতার কিছু কাজে লাগুক দেশমাতার কাজে লাগুক সবাইতো তাই চায়। কারণ সরকার যে খরচ আমাদের পড়াশোনার পেছনে করেছে সেটাতো জনগণের ট্যাক্সের টাকায়।
হীরেন পণ্ডিত: প্রাবন্ধিক, গবেষক ও কলামিস্ট