ডেঙ্গু মোকাবেলায় সবার সহযোগিতার আহবান ডিএনসিসি মেয়রের
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : অগ্নি নিরাপত্তায়, পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন সোসাইটিগুলোকে সহযোগিতা সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবন হল রুমে ঈদ উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন সোসাইটির দারোয়ানদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র এ আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন সোসাইটির প্রায় ৮০০ নিরাপত্তা প্রহরীর প্রত্যেককে একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বিভিন্ন সোসাইটি বা সমিতিগুলোকে সম্পৃক্ত করে শহরের জন্য কাজ করতে চাই।
পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন সোসাইটির কমিটিতে যারা আছেন আপনারাও কাউন্সিলরদের পাশাপাশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অনেকটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো আপনারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। সেই কাজ করতে সোসাইটি বা পাড়া-মহল্লা এগিয়ে আসবে, তখন আমাদের কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।
রাজধানীর সমিতি বা সোসাইটির সঙ্গে বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই।
মেয়র বলেন, ‘বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই সোসাইটির সঙ্গে। আমরা যখন মশার জন্য র্যালি করতে যাব, সচেতনতা বৃদ্ধিতে আপনারা সবাই আসবেন। আমি চাই ময়লা পরিষ্কার ও এডিস মশা নিধনে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।
সোসাইটির নেতারা দায়িত্ব নিন আপনাদের সোসাইটির কোনো সদস্য যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবে না। নিজেদের এলাকা নিজেরা পরিষ্কার রাখবে।’
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই শহরটা আমার না আমাদের। এই দেশটা আমার না আমাদের। আমি যদি আমাদের চিন্তা করি তাহলে ঠিক আছে।
কিন্তু যদি আমার চিন্তা করি তাহলে বসিলার খাল দখল করে ১০ তলা বাড়ি তুলে ফেলব। অনুরোধ করছি নিজের চিন্তা না করে সবার চিন্তা করবেন, শহরের চিন্তা করবেন।’
মেয়র জানান, আগামী ২২ এপ্রিল সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে ৫৪টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে শুরু হবে এডিস মশা নিধনের জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন। মহল্লা, এলাকাবাসী, সোসাইটি ও সমিতি আমাদের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে আপনারা অংশগ্রহণ করবেন। নিজের বাঁচি ও অন্যকে বাঁচাতে এডিসমুক্ত শহর গড়তে সবার সহযোগিতা চাই।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান।