নিখোঁজ হওয়ার ২২ দিন পর সেনা অভিযানে বাংগালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদো মং মারমাকে উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিখোঁজের ২২ দিন পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে কাপ্তাই সেনা জোন কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজস্থলীর গাইন্ধ্যা ইউনিয়নের লংগদুপাড়া হতে নিখোঁজ হওয়া বাংগালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদো মং মারমাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অপহৃত চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের দাবি গত ২৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ আনুমানিক বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩ টার সময় রাজস্থলী উপজেলার বাংগালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা (৫০), নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়া চেয়ারম্যান এর পারিবারের তথ্য মতে জানা যায়, আদোমং চেয়ারম্যান ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় তার নিজ বাড়ি হতে বাংগালহালিয়া ইউপি সদস্যদের সম্মানী উত্তোলনের জন্য রাজস্থলী উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে গমন করে। রাজস্থলী উপজেলা সদর হতে বাংগালহালিয়া ফিরে আসার সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন সশস্ত্র গ্রুপ কর্তৃক অপহরণ করা হয়।
অপরদিকে স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন নিখোঁজ হওয়ার পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ না হওয়ায় এবং সন্ধায় বাড়িতে না ফেরায় চেয়ারম্যান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তার পরিবার কর্তৃক একইদিন রাতে সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অবগত করে এবং নিখোঁজের ব্যাপারে চেয়ারম্যান এর পরিবার কর্তৃক কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।
আদোমং চেয়ারম্যান নিখোঁজ হওয়ার পরবর্তী সময়ে গত ২৬ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ রাত হতে অপহরণকারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার হতে চেয়ারম্যানের স্ত্রী’ এবং পরিবারের সদস্যদের মুক্তিপন চেয়ে ফোন দেয়। বিষয়টি স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী অবগত হলে, অপহরনকারীদের অবস্থান সনাক্তকরণে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতার টের পেয়ে অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় অপহৃত ব্যক্তিকে দুর্গম বিভিন্ন পাহাড়ে স্থানান্তর করতে থাকে। একপর্যায়ে আজ ১৭সেপ্টেম্বর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী জানতে পারে , অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের একটি দল গাইন্ধ্যা ইউনিয়নের লংগদুপাড়া এলাকা দিয়ে গমনাগমন করবে। এই প্রেক্ষিতে, কাপ্তাই সেনা জোনের একটি দল উল্লেখিত স্থানে গোপনে অবস্থান নেয়। এই সময় সেনাবাহিনীর অবস্থান জানতে পেরে সশস্ত্র দলটি অপহৃত আদো মং চেয়ারম্যান কে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কর্তব্যরত সেনা টহলের নজরে আসে এবং চেয়ারম্যান আদোমং মারমাকে সেনা টহলের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়,পরবর্তীতে সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়া হয়।