বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বনবিভাগের প্রজনন কেন্দ্রের কুমির অবমুক্ত
ম.ম.রবি ডাকুয়া বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বন বিভাগের উদ্যোগে সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া এলাকায় তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আরো মোট ৯০টি কুমির অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে এ অবমুক্ত করা হয়। রোববার দুপুরে বনের করমজল ও হারবাড়িয়া এলাকার খালে এ কুমির তিনটি অবমুক্ত করা হয়।পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এবং উপ-বন সংরক্ষক কবির হোসেন পাটোয়ারী হাড়বাড়িয়ায় ওই তিনটি কুমির অবমুক্ত করেন।
২০ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে ৩টি কুমির অবমুক্ত করার সময় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডঃ মোঃ বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম-সচিব মোঃ আঃ রাজ্জাক, উপ-সচিব এ,এস,এম, ফেরদৌস, বিলুপ্তপ্রায় লবণপানির প্রজাতির এ কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্দেশ্যেই ২০০২ সালে করমজলে কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলে বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে কুমির প্রজনন করা হয়। প্রকৃতিতে কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে এই কুমিরছানা বনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে অবমুক্তও করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার কথা ছিল। এর অংশ হিসেবে রোববার তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হলো। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট কুমিরগুলো সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে রোববার প্রথম দফায় তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। করোনার কারণে অবশ্যই এ কুমির অবমুক্তকরণ কার্যক্রম একটু বিঘ্নিত হয়েছে।
রোববার তিনটি কুমির অবমুক্তির পর বর্তমানে প্রজননকেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯২টি কুমির রয়েছে। বাকি ৮৭টি অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনের খালে ৩টিসহ বনের বিভিন্ন নদী ও খালে এ পর্যন্ত মোট ৯০ টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর দুপুরে হাড়বাড়িয়া এলাকায়ও ৩ টি কুমির অবমুক্ত করা হয়।