নীলফামারীতে যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে করছে চাষাবাদ, কৃষক ভীষণ খুশি
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে জমিনে বোরোধান চাষাবাদ করছে কৃষক। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষক কম সময়ে চাষাবাদের সুফল ভোগ করছে নীলফামারীর কৃষক। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় জেলার সদর পলাশবাড়ী ইউনিয়ন তরনিবাড়ী গ্রামের অফিজ উদ্দিনের কৃষক ছেলে আব্দুল মালেক। তিনি বিডি২৪ভিউজ কে বলেন গত বছর হামার এইঠে একশ পঞ্চাশ বিঘা জমিত ট্রেতে বিছন করিয়া মেশিন দিয়া জমিনত ধান নাগাই ছিল। তার পড় ডিসি, পুলিশ, চেয়ারম্যান আসছিল, সেই দেখি এবার হামরা নিজেই বোরো আবাদে নাগিপচ্ছি, তাতে তো খরচ কমে হয়ছে, এটার সহযোগিতা উপ-সহকারী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম করি দিসে হামাক, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার চালক পঙ্কজ জানান প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ধান লাগানো বিচন ও পেট্রোল সহ এক হাজার, আর যদি কৃষকের নিজেই বহন করে একবিঘা ধান লাগানো বাবদ দুইশত টাকা, গাড়ীটির দাম দুই হতে আরাই লক্ষ টাকা।
দেশের প্রত্যেক সেক্টরকে প্রযুক্তির ব্যবহার ও যান্ত্রিকি করনের প্রশার ঘটনাে, কৃষিকে আরো শক্তিশালী ও টেকশই মজবুত করবার লক্ষ্যে সরকার প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই প্রচেস্টা অব্যাহত রেখে, এই কাজটি করে যাচ্ছে নীলফামারী জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুবক্কর সিদ্দিক। এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বিডি২৪ভিউজ কে জানান, জেলায় বিনামুল্যে কৃষকদের সমিতির মাধ্যমে ৮৫ খানা রাইস ট্রান্স প্লান্টার প্রদান করা হয়েছে। এইপদ্ধতি কৃষকের মাঝে এখন ব্যপক সারা ফেলেছে,চাষাবাদে খরচ কমে গেছে, অল্প সময়ে জমিনে বোর লাগা সম্ভব হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই কৃষিতে একযুগান্ত কারী পরিবর্তন ঘটবে, যা দেশের উন্নয়নে অভুতপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এখন একজন ব্যক্তিই দিনে ২৫ হতে ৩০ বিঘা জমিনে বোর ধান লাগাতে পারে, পূর্বে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। কৃষককে উদবুদ্ধ করনের লক্ষ্যে সরকারের অর্থায়নে এবারে জলঢাকা উপজেলায় একশ পঞ্চাশ বিঘা জমিনে সমলয় চাষাবাদ প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে, সেখানে আগামীতে আরো ব্যাপক সারাফেলবে। কৃষক এই পদ্ধতির গাড়ি ক্রয় করতে চাইলে উপজেলা ও জেলা কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করলে যেকোনো পরামর্শ দেবে।