বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় উত্তোলন শুরু হচ্ছে; যেখান থেকে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে ওয়ার্কওভার কাজের উদ্বোধন করে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক।
আগামী দুই মাসের মধ্যে ওয়ার্কওভার কাজ শেষে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে পুরনো তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে নানা কারণে চারটি কূপ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ সালে খনন করা ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১৪ নম্বর কূপটি থেকে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি উঠতে থাকে।
এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১৪ নম্বর কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্য গ্যাস ফিল্ডগুলোর বেশ কয়েকটি কূপ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্ধ থাকা সাতটি গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিজিএফসিএল।
বিজিএফসিএলয়ের প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা জানান, সাতটি কূপের মধ্যে চারটি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। আর দ্রুত গ্যাস উত্তোলনের স্বার্থে অন্য কূপগুলোর ওয়ার্কওভার কাজ করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তিতাসের ১৪ নম্বর কূপের কাজ শেষে করে পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর কাজ শুরু হবে; সব ঠিক থাকলে দুই মাসের মধ্যে এ কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।
বিজিএফসিএলয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, প্রায় ৫৫ বছরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলো থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ টিএসএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমছে। চাপ স্বাভাবিক রাখতে কয়েকটি কূপে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে।
বন্ধ কূপগুলোর ওয়ার্কওভার শেষ হলে বিজিএফসিএলের গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে গ্যাসের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা এই কর্মকর্তার।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএলয়ের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (প্রকল্প ও উন্নয়ন) জাকির হোসেন তরফদার এবং মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আশরাফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।