৯ দফা দাবিতে পাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : ৯ দফা দাবিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন কর্মকর্তারা।
রবিবার (৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন এবং সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন রেজিস্ট্রারের কাছে এ স্মারকলিপি তুলে দেন।
কর্মকর্তাদের ৯ দফা দাবি হলো- ১. নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশন / পদোন্নতির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন / পদোন্নতির দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান; ২. এডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদান; ৩. কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন / পদন্নতি নীতিমালা সংশোধন; ৪. কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি (MPQ) সংশোধন; ৫. কর্মকর্তাদের শিক্ষাছুটি, লিয়েন ছুটিসহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি (হয়রানী ব্যতিত) প্রদান: ৬. কর্মকর্তাদের সুযোগে-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, কিন্তু সুযোগে-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় না, এমন দ্বৈতনীতি পরিহার করা; ৭. প্রয়াত ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা: মো: শহিদুল ইসলামের সহধর্মিনীর চাকুরির ব্যবস্থা করা; ৮. ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত উপকমিটিতে সকল কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ৯. ৪% গৃহ নির্মাণ ঋণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এই ৯ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যায়ের কর্মকর্তা পরিষদের সূত্রে জানা যায়, ঈদের পূর্বে কর্মকর্তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রশাসনের কাছে পাঁচ (০৫) দফা দাবি পেশ করার কথা জানা যায়। তবে প্রশাসন সেসব দাবিদাওয়া পূরণে কোন পদক্ষেপ না নেয়নি বলে অভিযোগ করেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে সেসব দাবি-দাওয়া সংশোধন করে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, যে ৯ দফা দাবি দেওয়া হয়েছে সেটা কর্মকর্তাদের দাবি। কর্মকর্তারা বিভিন্ন দিন ধরে তাদের বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। আমরা চাই কর্মকর্তাদের সাথে যে বৈষম্য আছে সেগুলো দূর হোক। সেজন্যই প্রশাসনের কাছে আমাদের এই দাবি-দাওয়া। প্রশাসন যদি আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণ না করে তাহলে আমাদের কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি আছে।
সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, আমাদের অনেক কর্মকর্তার আপগ্রেডশন আটকে আছে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্য এক বছর ধরে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখনো তার কোন ফলাফল আমরা পায়নি। এখানে অনেক সমস্যা আছে। কর্মকর্তা নীতিমালা সংশোধনীর কথা আছে কিন্তু সেটিও সংশোধন করা হচ্ছেনা, কর্মকর্তাদের যে নিয়োগবিধি (MPQ) আছে সেটা মনগড়া, সরকারি বিধিমালায় ৪% হাউজ লোনের কথা বলা আছে এখানে সেটা নাই। এর ফলে আমরা ক্ষতগ্রস্থ হচ্ছি। পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি পরীক্ষাতে আমাদের কর্মকর্তাদের রাখা হচ্ছেনা, যার ফলে আমরা আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এইসব কারণেই আমাদের এই দাবি-দাওয়া। আমরা আশা করছি উপাচার্য মহোদয় এই নয় দফা দাবি পূরণ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, এটা কর্তৃপক্ষের (প্রশাসন) বিষয়। কর্তৃপক্ষ কি করবেন এটা উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন। যা করার উনিই করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন তাদের একটি স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে কর্মকর্তাদের দাবি পূরণ করছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগের কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এ বিষয় অফিসে গিয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন উপাচার্য।