ইবি শিক্ষককে মারধরকারী সেই ব্যাংক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

0

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্র্তৃপক্ষ। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার বিচার চেয়ে অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার ম্যানেজারের মাধ্যমে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে রাতে অগ্রণী ব্যাংক খুলনা সার্কেলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই কর্মকর্তাকে পাঠানো এক চিঠি থেকে তার বরখাস্তের বিষয়টি জানা যায়। এছাড়া শুক্রবার অগ্রণী ব্যাংক কেন্দ্রীয় শাখার ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তার জবাব পেলে এবং বিস্তারিত তদন্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সোহেল মাহমুদ (প্রিন্সিপাল অফিসার) অগ্রণী ব্যাংক চৌড়হাস শাখার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে শারিরীকভাবে লাি ত ও অসৌজন্যমূলক আচরনের অভিযোগে বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়াÑখুলনা মহাসড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ বিষয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে ব্যাংকটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। এছাড়া উক্ত শিক্ষকের উপর হামলার বিচার চেয়ে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পদান করলে তা ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাংকের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালা-২০০৮ এর ৪১ (গ), ৪১ (ঘ) ও ৪১(ঙ) অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালা-২০০৮ এর ৪৪ ধারা মোতাবেক ওই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। যা ০৮ জুন হতে কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক চৌড়হাস শাখার ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, আমরা নোটিশটি হাতে পেয়েছি এবং তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ বলেন, আমি একটা বড় যড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার। এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।

উল্লেখ্য, এর আগে ভুক্তভোগীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক কুষ্টিয়ার হাউজিংয়ের ডি বøকে বাড়ির নির্মান কাজ শুরু করলে বাধা দেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ। পরে বিষয়টির মীমাংসা হলেও কাজ শুরু করলে আবারো ওই শিক্ষকদের হুমকি দিতে থাকেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে গত বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হলে ড. মোস্তাফিজুর রহমানের উপর অতর্কিত হামলা করেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার এবং শাস্তির দাবিতে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.