টাইম ট্রাভেল – রাফসান সামি লাবিব
টাইম ট্রাভেল নিয়ে মানুষের ভাবনার শেষ নেই। টাইম ট্রাভেলের ধারণাটি শুরু হয়েছিল ১৮৯৫ সালের প্রকাশিত এইচ যে ওয়েলস এর দ্যা টাইম মেশিন নামের বইটির হাত ধরে, এর আগেও টাইম ট্রাভেল নিয়ে মানুষ কল্পনা করতো তবে এ সময় ধারণাটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়।
কিন্তু তার ১০ বছ পর আলবার্ট আইনষ্টাইন তার আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রকাশ করে। তার হাত ধরে আমরা জানতে পারি তাত্ত্বিকভাবে টাইম ট্রাভেল সম্ভব। তবে তা টাইম মেশিনের মাধ্যমে নয়। আইনষ্টাইন তত্ত্ব মতে ভবিষ্যতে যাওয়া সমভব। তবে অতীতে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু কেউ যদি ওয়ার্মহোল এর মধ্যে দিয়ে ভ্রমন করতে পারে তবে সে যেতে পারবে, অতীতে বা অন্য কোন মহাবিশ্বে। তবে অতীতে যাওয়ার বিষয়টা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে ওয়ার্মহোলের মধ্য দিয়ে যে সময় পরিভ্রমণ করা যায় তা মোটামুটি বলতে গেলে নিশ্চিত।
টাইম ট্রাভেলের আরেকটি উপায় হলো মহাকাশ ভ্রমণ। কিন্তু তার জন্য দরকার আলোর গতির কাছাকাছি বেগ যা এখনো অবিষ্কৃত হয়নি। কোন ব্যক্তি যদি আলোর বেগের ৮০% গতির মহাকাশ অভিযানে চড়ে ১০ বছর কাটিয়ে পৃথিবীতে এসে সে দেখতে পাবে এখানে সে কেটে গেছে প্রায় ১০০ বছর। তার মানে দাড়ীয় সে ৯০ বছর সময় ভ্রমন করলো। কিন্তু এই সময় ভ্রমণের জন্য দরকার আলোর গতির কাছাকাছি বেগ, যা এখনকার প্রযুক্তি দ্বারা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এছাড়াও সময় ভ্রমণের আরো একটি উপায় আছে (আমার মতে) সেটি হলো টাইম স্লিপ বা টাইম জাম্প। কেউ যদি টানা কয়েক বছর ঘুমাতে পারে তবে পৃথিবীতে বদলে যাবে অনেক কিছু, অন্যদের বয়স বাড়বে, পৃথিবী আরও উন্নত হবে। যখন ঘুমান্ত ব্যক্তিটি চোখ খুলবে সে দেখতে পাবে বদলে গেছে পৃথিবী, ঘটে গেছে অনেক কিছু। তাই সে মনে করবে আমি তো কিছুক্ষণ আগে ঘুমালাম। তাই তার মনে হবে সে টাইম ট্রাভেল করছে। কিন্তু এর জন্য তৈরী করতে হবে তীব্র ঘুমের ঔষধ।
বিজ্ঞানে কোন কিছু সম্ভব বলতে গেলে কিন্তু থাকা যাবে না। তাই এখনকার সময়ে ভ্রমণ অসম্ভব কিন্তু ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে টাইম ট্রাভেল সম্ভব হতে পারে।
লেখক –
রাফসান সামি লাবিব
ষষ্ঠ শ্রেণি, জিলা স্কুল, বগুড়া