স্বাধীনতার সবর্ণ জয়ন্তী ,পাবনার সর্বত্র স্মরণীয় আয়োজন । রফিকুল ইসলাম সুইট
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ প্রাণ এবং ২ লাখ নারীর সম্ভাম হানীর বিনিময়ে এসেছিল যে স্বাধীনতা।যে স্বাধীনতার জন্য রক্তে রঞ্জিত বাংলার সবুজ ঘাস,সুরমা, কুশিয়ারা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পেরিয়ে বঙ্গোপসাগর। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে সময়ের হাত ধরে আজ সেই স্বাধীন সূর্যোদয়ের দিন। বুক পেতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার দিন। হাজার বছরের গোলামী, ২০০ বছরের দাসত্ব আর ২৪ বছরের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নিজেকে মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেয়ার দিন। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহংকারের দিন। আজ মহান ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । উন্নয়নশীল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুজিব জন্মশতবর্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল অসাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেবে পাবনাবাসী। ২৬ মার্চ ২১২১ বৃহস্পতিবার স্মরনীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পাবনায় উৎযাপিত হবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানের শোষণ ও দুঃশাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে স্বাধীন হয় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ মধ্যরাতের প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর শুরু হয় সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মহান বিজয়। প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীনতার স্বাদ পায় বাংলার মানুষ। বাঙালির চিরকালের গৌরব আর অযুত অহঙ্কারের এক অবিনশ্বর দিন তাই আজ। দীর্ঘকালের পরাধীনতার গ্লানি আর বিজাতীয় শাসন-শোষণের জাঁতাকল থেকে বেরিয়ে বাঙালির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে।
এক ক্রান্তিকাল পেরিয়ে আমাদের প্রিয় স্বদেশ ভূমি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্তি হলেও সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ আজো পায়নি এ দেশের মানুষ। ভৌগোলিক মুক্তি এলেও আসেনি মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি-সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে আজ সৃষ্টি হয়েছে অভূতপূর্ব এক গণজাগরণ। যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশিষ্ট মুষ্টিমেয় গোষ্ঠী ছাড়া গোটা জাতি এই দাবিতে আজ একাট্টা। আর আমাদের সামনে দিনবদলের হাতছানি নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার। তাই তো দেশের মানুষ আজ যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি-সমৃদ্ধ অসা¤প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার আকাঙ্খায় উজ্জীবিত।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাংলার এ ভূখন্ড শাসন-শোষণ করেছে বহু রাজা-বাদশা, নবাব-সুলতানসহ নানা জাতির সামন্ত প্রভুরা। স্বর্ণ প্রসবিনী এই মাটির লোভে এসেছে মগ, এসেছে বর্গি। সাত সাগর তেরো নদী পেরিয়ে এসেছে ব্রিটিশ। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর থেকে প্রায় ২০০ বছর ধরে তারা শাসন ও শোষণ করেছে আমাদের।
ব্রিটিশদের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় ভারতবর্ষ। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ-ভারত দ্বিখন্ডিত হয়ে জন্ম নেয় দুটি রাষ্ট্র- পাকিস্তান ও ভারত। ব্রিটিশের হাত থেকে স্বাধীনতা পেলেও মুক্তি পায়নি বাংলার মানুষ। নেমে আসে পাকিস্তানি শোষণ, বঞ্চনা ও দুঃশাসনের খড়গ। পাকিস্তান সৃষ্টির কিছুদিনের মধ্যেই বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের লক্ষ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে শুধুমাত্র উর্দুকে চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। তখনই ফুঁসে উঠে বাঙালি জাতি। শুরু হয় আন্দোলন। ধাপে ধাপে এগিয়ে চলে সে আন্দোলন। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয়, ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬ দফা, ’৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় জন্ম দিয়েছে রক্তঝরা একাত্তর।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্থানি শাসকরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা স্থানান্তর না করে মেতে উঠে নানা ষড়যন্ত্রে। এ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার জনগণ তৈরি হয় চূড়ান্ত সংগ্রামের জন্য। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এ তাৎপর্যপূর্ণ ও দিকনির্দেশনামূলক ভাষণের পর সারা দেশে শুরু হয়ে যায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। দানা বেঁধে উঠে স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন বিশ্বের ঐতিহাসিক ভাষনের মধ্যে সেরা ভাষন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্থানি শোষণ, বঞ্চনা ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র সজ্জিত পাকিস্থানি সৈন্যবাহিনী। নির্বিচারে হত্যা করে অগণিত মানুষকে। বাংলার মাটিতে রচিত হয় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যাকান্ডের নজির।
এই নৃশংস গণহত্যায় বাঙালি শোকে পাথর হলেও সেই শোককে পাথরচাপা দিয়েই জ্বলে ওঠে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে। ২৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় (অর্থাৎ ২৬ মার্চ) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে বঙ্গবন্ধুকে। গ্রেপ্তার হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হয়ে যায় তখনকার ইপিআরের অয়্যারলেসযোগে। বঙ্গবন্ধুর এ আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার পিলখানা থেকে ইপিআর অয়্যারলেসে ইপিআরের সুবেদার মেজর শওকত আলী ও তার সঙ্গীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেন। পর মুহূর্তেই ধরা পড়লে পাকি¯তানিরা শওকত আলীকে হত্যা করে। একইভাবে ঢাকার বলধা গার্ডেনে স্থাপিত এক গোপন রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে ২৫ মার্চ রাত ১১টায় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি প্রচার করেছিলেন হাজি মোর্শেদ। এরপর ঢাকার মগবাজার টিএন্ডটি অফিস থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা সারা দেশে প্রেরণ করা হয়।
২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার অয়্যারলেস মেসেজ চট্টগ্রামে পৌঁছে। এ পর্যায়ে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ রেডিও স্টেশন থেকে ২৬ মার্চ দুপুর ২টায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম প্রচার করেন আওয়ামী লীগ নেতা, তখনকার এমএনএ এম এ হান্নান। এর পরদিন ২৭ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় কালুরঘাট ট্রান্সমিশন সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তখনকার অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার এটাই প্রেক্ষাপট। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় ঘুরে দাঁড়ায় বাঙালি। ২৬ মার্চ থেকেই শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াই। নিরস্ত্র মানুষ অদম্য মনোবল আর বুকভরা সাহস নিয়ে রুখে দাঁড়ায় আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আর চূড়ান্ত প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরুর দিন- ২৬ মার্চ তাই আমাদের স্বাধীনতা দিবস। বাঙালির হৃদয়ে স্বর্ণেও অক্ষরে লিখিত অমর, অক্ষয় একটি দিন। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের মরণপণ সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত; স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তনয়া শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকন্যাই দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন দিনবদলের স্বপ্ন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের আগেই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি। এরই মধ্যে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের পথে। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সিপিডি এর ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো পেল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সকল মানদন্ড পুরণের স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন। অপতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।
নানা ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আজ ঐক্যবদ্ধ দেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ।
এমনি প্রেক্ষাপটে বছর ঘুরে আবার এসেছে মহান স্বাধীনতা দিবস। সব ষড়যন্ত্র ও দুঃশাসনের চির অবসান ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদ ও ঘাতক যুদ্ধাপরাধীমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্খায় আজ উদ্দীপ্ত গোটা জাতি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি পালন করবে এবারের স্বাধীনতা দিবস। মহান স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দ্বিধাহীন চিত্তে আজ নতুন করে শপথ নেবে ১৬ কোটি বাঙালি।
২০২১ সাল মুজিব শতবর্ষ- এ পজন্মের অহংকারর বৎসর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মুজিব আদর্শ বাস্তবায়নের বছর। কারণ দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক, ভাগ্য পরিবর্তনের নির্মাতা, দেশের উন্নয়নের রূপকার, বাংলার আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, মাদার অব হিউম্যানিটি, বিশ্বনন্দিত নেতা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া ও মুজিব আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব।
সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন, এসডিজি অর্জনে আইসিটি ব্যবহারে প্রচারণা, ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অগ্রগতি ও শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখা, বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড, এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার ও প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ পুরস্কার, সম্প্রতি ভ্যাকসিন হিরো, চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ পুরস্কার, অতিসম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরিস অ্যাওয়ার্ডসহ ৩৯টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার/অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। ফোবর্সের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।
উন্নয়নশীল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুজিব জন্মশতবর্ষে আমাদের শপথ হোক- বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র সংবিধানের এ চার মূলনীতিকে সত্যিকার অর্থেই প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন করা।
দিবসটি উপলক্ষে পাবনা জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ, পাবনা পৌরসভা,পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিম্ববিদ্যালয়, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজ, স্বাধীনতা দিবস বিজয় উযাপন পরিষদ, পাবনা জেলা পরিষদ,পাবনা প্রেস ক্লাব, গণশিল্পী, পাবনা থিয়েটার ৭৭ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসুচী গ্রহন করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ ২৬ মার্চ ৬.০১ মিনিটে স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় পুষ্পস্তবক অর্পন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা, জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা, শ্যূটিং, ৫০ বল ক্রিকেট প্রতিযোগীতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগীত অনুষ্ঠিত হবে। হাসপাতাল, জেলখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
লেখক : সাংবাদিক ও শিক্ষক ।