এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মাহমুদ
এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার ছাএ জীবন থেকেই একজন খুব পছন্দনীয় মানুষ। তার অনুপ্রেরনায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ১৯৬৮ সালে যোগদান করি। ১৯৬৯ সালের গন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয় জীবনের প্রথম ভোট দেই এবং সেটি নৌকা মার্কায়। পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাই। একটা সময় বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। বাঙ্গালীরা মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। আমিও পড়ি। ভারতে যাই। ভারতের উত্তর প্রদেশের দেরাদুন জেলার টানডুয়া নামক জায়গায় প্রশিক্ষন নিয়ে মুজিব বাহিনী হিসেবে একটি টীমের ডিপুটি লিডার হিসেবে নেতৃত্ব দেই অনেককে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেই এবং যুদ্ধ করি। দেশ স্বাধীন হয়।
বঙ্গবন্ধু ১০ ই জানুয়ারী ১৯৭২ সাল তারিখে ফিরে আসেন, তার কাছে ঢাকা ষ্ঠেডিয়ামে অস্ত্র জমা দেই। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়এ অনার্স ও মা মাষ্ঠার ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে এসে ১৯৭৮ সালে বগুড়া বারে আইন পেশা শুরু করি এবং ১৯৮১ সালে বগুড়া আইন কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ঠ কিছু সংখ্যক ষড়যন্ত্রকারী ও জাতীয় বেঈমান নিঃসংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর ছোট বেলার অনেক কাহিনী আমার জীবনের সহিত কিছু কিছু মিলে যায়।আমি বঙ্গবন্ধুকে বাঙ্গালী জাতির অসংবাদিত নেতা, একজন আদর্শ মানুষ, একজন প্রকৃত জননেতা, নিঃস্বার্থ মানুষ, জন দরদী, দেশপ্রেমিক, বিশ্বের মেহনতি ও শোষিত মানুষের পক্ষের নেতা, ইসলাম ধর্মে বিস্বাসী খাঁটী মুসলমান মনে করি সর্বপরি তিনি ছিলেন একজন সিংহ হৃদয়ের মহান ব্যক্তিত্ব। ইহকালে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ ও তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, তাঁর আত্মত্যগ ও যোগ্য নেতৃত্বে আমরা এদেশকে স্বাধীন করেছি এবং স্বাধীন জাতী হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছি।
বাঙ্গালী জাতির জন্য তিনি অনেক কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন, আন্দোলন করেছেন, জীবনএর সবচেয়ে মুল্যবান সময়ে জেলে থেকেছেন। এদেশের মানুষের জন্য কি না করেছেন। গোটা জাতি তার কাছে চীরকৃতজ্ঞ এবং চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে। এদেশের দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছেই তিনি অত্যন্ত প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।
তিনি কোন নির্দিষ্ট দলের বা গোষ্ঠীর নন তিনি গোটা জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। তিনি আমাদেরকে ছেড়ে চির বিদায় নিয়েছেন। তাই আমাদের কোন কাজের দ্বারা তার পরকালের সামান্যতম ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমরা অবশ্যই করবো না আর যদি আমাদের কোন কাজের দ্বারা তাঁর আমলনামায় কোন সওয়াব যোগ হয় তাহলে নিরদ্বিধায় সে সকল কাজ অবশ্যই করবো। তিনি ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা এদেশের মানুষের হৃদয়ে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই তাকে কেউ কোন ভাবে অবমাননা করার সুযোগ না পায়। তাঁর জন্য তাঁর পরিবারের সকলে এবং জাতীয় ভাবে প্রতি বছরে এদেশের মানুষ তাঁর জন্ম ও মৃত্যু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় সহিত পালন করবে এবং মহান আল্লাহ তালা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন তার জন্য আন্তরিক ভাবে দোয়া ও প্রার্থনা করবে এবং তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমিন।