বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মৃতিস্তম্ভ পাবনার সাতবাড়ীয়ায়

0
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১২ মে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কুড়িপাড়া,শ্যামনগর, নিশ্চিন্তপুর, কাচুরী, তারাবাড়ীয়া, ফকিৎপুর, সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, সিন্দুরপুর, হরিরামপুর, ভাটপাড়া,বর্তমানে পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়া কন্দর্পপুর এবং গুপিনপুর সহ প্রায় ১৫-২০টি গ্রামে অপারেশন চালিয়ে গণহত্যা চালায়, নারীদের ধর্ষণ করে, বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়। তারা ঐ দিনের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দিন, ফকর উদ্দিন, সমির সাহা, ওয়াজেদ আলী, গোপাল শেখ, অসিত সাহা, খিতিশ সাহা, বাসুদেব বিশ্বাস, চেতনা শেখ, আব্দুল কদ্দুস এবং সেকেন্দার আলিসহ নাম অজানা প্রায় ৫০০-৬০০ নারী ও পুরুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনের লাশ পার্শ্ববর্তী পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এবং হানাদার বাহিনী গণহত্যা করার পাশাপাশি গোটা ইউনিয়নে ব্যাপক লুটপাট, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ চালায়।
সাতবাড়িয়া অঞ্চল পাবনা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অঞ্চল। সাতবাড়িয়া অঞ্চল ৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পটভূমিতে সোচ্চার ছিলো এবং পাবনা-২ সংসদীয় আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিনের বাড়ি ছিলো এই ইউনিয়নে। এসমস্ত সেসময়ে কারণে পাকিস্তানী বাহিনীর নজরে পরেছিলো এই এলাকা। বর্তমানে এই এলাকার মানুষ প্রতি বছর ১২ মে ‘সাতবাড়ীয়া গণহত্যা দিবস’ পালন করে আসছে। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে। উল্লেখ্য,এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মৃতিস্তম্ভ।

 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.