নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত ইসি মেয়াদোত্তীর্ণ : ৫ সদস্যের নতুন কমিটি : ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন
উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদ আহুত সংগঠনের বিশেষ সভায় কার্যকরী পরিষদ (ইসি) মেয়দোত্তীর্ন হওয়ায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে ৫ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগঠন পরিচালনা এবং আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র মোতাবেক নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনকল্পে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সভায় বিভক্ত নয়, ঐক্যের উপর গুরুত্ব দিয়ে সংগঠনের আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সংগঠনের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যকরী পরিষদ ‘অকার্যকর’ ঘোষণা করে উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। খবর ইউএনএ’র।
জ্যামাইকার স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্টে রোববার (৩০ এপ্রিল) অপরাহ্নে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভক্ত ফাউন্ডেশনের উভয় কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় গঠনতন্ত্রের আলোকে প্রধান উপদেষ্টা ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসানের আহ্বানে ও সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা করেন অপর উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল। সভায় সংগঠন প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বর্তমান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান।
সভায় হাসানুজ্জামান বলেন, উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর স্বার্থে ১৬টি জেলার সমন্বয়ে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছিলো। আমাদের মাঝে মতবেধ থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনের ব্যাপারে ঐকব্যদ্ধ থাকতে হবে। তিনি সংগঠনের স্বার্থে উত্তরবঙ্গের সকল জেলার প্রবাসীদের এক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, সংগঠন পরিচালনায় ব্যক্তি, ব্যক্তির মতামত নয়, গঠনতন্ত্র অনুসরণ করলেই কোন সমস্যা হবে না। তাই তিনি গঠনতন্ত্রের আলোকে সংগঠন পরিচালনার আহ্বান জানান।
সভার সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান বলেন, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকা, গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন না হওয়া সহ বিভিন্ন কারনে আজকের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি গঠনতন্ত্রের আলোকে সংগঠন পরিচালনার উপর গুরুত্বারেপ করেন।
সভায় বলা হয়, দেশের উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার সমন্বয়ে ২০০৯ সালে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে নিউইয়র্ক ষ্টেট-এর সংগঠন হিসেবে রেজিষ্ট্রি করা হয়। মূলত: বিগত ৭ বছর থেকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ফাউন্ডেশন পরিচালিত হচ্ছে না এবং নতুন কার্যকরী কমিটিও হচ্ছে না। ফলে অনেকর মাঝে হতাশা আর দূরত্ব বিরাজ করছে। এভাবে ফাউন্ডেশন চলতে পারে। সভায় ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, কোন্দল, বিভেদ-বিভক্তি দূর করে ১৬টি জেলার সকল প্রবাসীকে নিয়ে শক্তিশালী ফাউন্ডেশন গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ডা. চৌধুরী এম হাসান, ডা. এম কবীর হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম মিজানুল হাসান, আজিজুল হক মুন্না, মোহাম্মদ আবু তাহের, মোহাম্মদ রেজাউল হক, সাইদুর রহমান, মার্ক ফারুকী, ওসমান চৌধুরী, মোতাহার হোসেন, আনোয়র হোসেন, নীলুফার খান স্বপ্ন, রোমানা জেসমীন, ডা. নার্গিস রহমান, শাহানা বেগম রীনা, মোহাম্মদ মোহর খান, মুহাম্মদ সাদীউর রহমান, আদন ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুর রকিব, আফরোজা বেগম প্রমুখ উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের প্রেক্ষিতেই উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সভায় সংগঠনের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে যথাক্রমে ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান-কে কনভেনর, নাসির আলী খান পল-কে মেম্বার সেক্রেটারী, আনোয়ার হোনে-কে কোষাধ্যক্ষ, ফানসু মন্ডল-কে গঠনতন্ত্র এক্সপার্ট এবং ডা. মাসুদুল হাসান-কে প্রধান সমন্বয়কারী একটি কমিটি গঠন করা হয়।