রসাটম নকশায় নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বছরে ২১ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন রোধ করছে
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সকলের বাসগৃহ ধরিত্রীকে রক্ষার প্রত্যয় পূনর্ব্যাক্ত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন- রসাটম।
বিডি২৪ভিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে সকলের বাসগৃহ ধরিত্রীকে রক্ষার প্রত্যয় পূনর্ব্যাক্ত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন- রসাটম। রসাটমের নকশায় সারা বিশ্বে নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রতি বছর ২১ কোটি টন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন রোধ করছে, যার মধ্যে ১০.৭ কোটি টন খোদ রাশিয়ায়।
নিম্ন মাত্রার কার্বনভিত্তিক বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমানে সক্ষম হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি থেকে পৃথিবীর সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরাসরি এমন কোনও রাসায়নিক নির্গত হয় না যা ওজন স্তরের ক্ষতিসাধন করে কিংবা গ্রীন হাউজ প্রভাবে কোন অবদান রাখে।
২০১৯ সালে রাশিয়ায় রসাটমের কার্যক্রমের ফলে দূষণকারী পদার্থের নির্গমন ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ। রসাটমের অধিভুক্ত ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ ব্যাবস্থাপনা সিস্টেম রয়েছে, যা আইএসও ১৪০০১ সনদপ্রাপ্ত। রসাটমের কন্ট্রোল ল্যাবরেটরীগুলো রাশিয়ার সকল পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনায় নিয়মিতভাবে মনিটরিং এবং সেম্পলিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। কৃষিজাত খাদ্যপন্য, বনজ ফল-মুল, পর্যবেক্ষনাধীন এলাকায় উৎপাদিত খাদ্য এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শীতলীকরণ জলাশয়ের পানি, মাছ ও তলানীতে তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমান নিয়মিতভাবে মনিটর করা হয়।
পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে রসাটম বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে শিল্পের পরিবেশ নিয়ন্ত্রন, বায়ুমন্ডলে ক্ষতিকারক পদার্থের নির্গমন মনিটরিং, পরিবেশ সংক্রান্ত বিধানগুলোর প্রতিপালন, স্যানিটারি সুরক্ষা জোনের উন্নয়ন, ধুলা ও গ্যাস ট্রিটমেন্ট স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি। ২০১৯ সালে রসাটমের প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশগত মোট ব্যয় ছিল ৩৬৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রীন হাউজ গ্যাসের নির্গমন ২০১৮ সনের তুলনায় ৬.৪ শতাংশ, বর্জ্য জলের নির্গমন ৭৬২.১ মিলিয়ন কিউবিক মিটার হ্রাস পেয়েছে। রসাটম মনে করে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ ব্যতিরেকে বর্তমানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবেলা সম্ভব নয়। জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর সঙ্গে যৌথভাবে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে সক্ষম।