বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিপা ও রিন্টু দম্পতি যুগল
জাহিদ হাসান নিশান ( বিনোদন প্রতিবেদক) : লোক ঐতিহ্যের গানের সমৃদ্ধ একটি ধারার নাম ধামাইল। গান নয় শুধু, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের নৃত্যগীত। মূলত সিলেট অঞ্চলে এই গানের চর্চা পরিলক্ষিত হয়। গানের কথায় সুরে রাধা কৃষ্ণের প্রেম। লীলা। উপস্থাপনাও বৈচিত্র্যপূর্ণ। দেখে শুনে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। সব মিলিয়ে ভাটি বাংলার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ধামাইল। একসময় এই ঘরের উঠোন, ওই ঘরের উঠোন জমিয়ে রাখতেন শিল্পীরা। এখন নানা টানাপোড়েন। শিল্পীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। কোন ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় বিলুপ্তির পথ ধরেছে বহুকালের পুরনো নৃত্যগীত ধামাইল৷
বিলুপ্ত এই শেকড়ের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন সিলেটের ধামাইল কন্যা খ্যাত নিপা সূত্রধর৷ তাঁর গাওয়া ধামাইল হাওরাঞ্চল ছাপিয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ব দরবারে, পেয়েছেন “ধামাইল কন্যা” খেতাব।
এছাড়া ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক রাধারমণ পরিষদ, সুনামগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি,সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি সহ নানান প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন সনদপত্র৷ এছাড়াও নিপা সুত্রধর সুর ঝংকার শিল্পী সংস্থা এবং সংগীত বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে স্থান পরিবর্তন করতে করতে এ গান করা হয়৷ এতে এক একটি বিষয় বা কাহিনী নিয়ে তারা বিভিন্ন অংশ পর্যায়ক্রমে পরিবেশন করেন৷
মূলত,নিপা সুত্রধরের স্বামীও একজন কবি, সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। রিন্টু সুত্রধর রিকি একজন গীতিকার ও সাহিত্যিক। তিনি ব্যক্তি জীবনে প্রবাসী হলেও বিদেশ বিভূঁইয়ে বসে রচনা করে যাচ্ছেন নানান লোক সাহিত্য ও সংগীত। তিনি দেশ বিদেশের নানান সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। পেয়েছেন পাকনেত্র আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন এ্যাওয়ার্ড ২০২২। রিন্টু সুত্রধর রিকি সিলেট বিভাগীয় নানান সংগঠনের সভাপতি হিসেবেও মনোনিত হয়েছেন। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে এভাবেই বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
সম্প্রতি সময়ে তাঁর গীতিকথায় কন্ঠ দান করছেন অনেক গুণী শিল্পীগণ যা পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে। পত্রিকার পক্ষ থেকে এই দম্পতির জন্য রইল শুভকামনা ।