ত্রিশ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবেন বীরনিবাস
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রকল্প হলো ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাড়ি পাবেন ৩০ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা। শুরুতে ১৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি দেওয়ার কথা থাকলেও পরে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ‘বীরনিবাস’গুলো ২০২৩ সালের মধ্যে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তান্তর করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়। এটি আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. মাহমুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্পটি নিয়েছি অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের জন্য। এর মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানরা মুজিববর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উপহার হিসেবে ৩০ হাজার বীরনিবাস পাচ্ছেন।’
নতুন প্রকল্প : এ ছাড়া আজ একনেকে উঠছে আরো নতুন সাত প্রকল্প। প্রকল্পগুলো হলো—বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, সারা দেশে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, পিরোজপুর জেলার পল্লী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেচ ড্রেইন নির্মাণ, নোয়াখালী পৌরসভার ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবায়েতদের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), শেখ কামাল স্টেডিয়াম এবং কুষ্টিয়ার অধিকতর উন্নয়ন।