এক্সপ্রেসওয়ের যুগে বাংলাদেশ
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বছর ৪০ আগে সড়কে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ছিল পুরো এক দিনের পথ। এক সকালে রওনা করে পথে চার নদী ফেরিতে পার হয়ে আরেক সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছাত বাস। গত এক দশকে যানজট বহু গুণ বাড়লেও দেশের প্রধান দুই শহরের দূরত্ব চার লেনের মহাসড়কে ছয় ঘণ্টায় নেমে এসেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর তা তিন ঘণ্টায় নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে নয়, স্বাধীনতার ৫০ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে সর্বত্রই। আশির দশকে যোগাযোগ খাতে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণের যে ধারা শুরু হয়েছিল, তা অব্যাহত রয়েছে। দুই লেনের সড়কগুলো চার লেনের মহাসড়কে উন্নীত হচ্ছে। আগামী দিনে সব মহাসড়ককে ছয় থেকে আট লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণে রাজধানী থেকে পদ্মা সেতুর দূরত্ব এখন আধাঘণ্টা। অথচ বছর চার-পাঁচ আগেও এ পথটুকু পাড়ি দিতে দেড় ঘণ্টা লাগত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাল পরিক্রমা ও বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেছেন ‘দৈনিক কুমিল্লার কাগজ’-এর সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়। তার কাছ থেকে এ পথের ১৭৯৪ থেকে সোয়া দুইশ’ বছরের ইতিহাস জানা গেল। তিনি জানালেন, ১৭৯৪ সালে ত্রিপুরার ইংরেজ কালেক্টর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে চিঠি লিখে সড়ক নির্মাণের আর্জি জানান।
১৯১০ সালে ত্রিপুরার ইতিহাস লেখেন সেই সময়কার কুমিল্লার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জে. ই. ওয়েব স্ট্রার। তিনি লিখেছেন, সড়ক নির্মাণে ১৮২৯ সালে বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করে কোম্পানি। আজকের যে সড়ক তার আদিরূপ নির্মিত হয় ১৮৭১ সালে ৯৭ হাজার রুপি ব্যয়ে।
আবুল কাশেম জানালেন, ইটের রাস্তা পিচঢালাই হলেও পরের একশ বছরে খুব একটা বদল হয়নি রাস্তাটির। স্বাধীনতার পর কুমিল্লা থেকে ঢাকা ৯০ কিলোমিটার পথ যেতে ছয় ঘণ্টা লাগত। প্রথমে দাউদকান্দিতে গোমতী, এরপর মেঘনা এবং ঢাকার প্রবেশ পথে শীতলক্ষ্যা নদী ফেরিতে পার হতে হতো। ফেরি পারে কখনও দিন যেত। প্রকৃতি যদি বৈরী থাকত, তাহলে তো কথাই নেই। কুয়াশা, ঝড়, বৃষ্টির জন্য ফেরিঘাটেই দিন যেত। তাই লোকে ট্রেনেই যাতায়াত করত। ১৮৯৫ সালে আসাম-বেঙ্গল রেল কোম্পানি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন রেলপথ তৈরি করেছিল।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ১৯৭৭ সালে সেতু চালু হয়। মেঘনা সেতু চালু হয় ১৯৯১ সালে। গোমতী সেতু চালু হয় ১৯৯৫ সালে। সড়কপথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ শুরু হয়। সেই সময়ে সড়ক ও সেতু- সবই ছিল দুই লেনের। যানজট ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০০৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। তাতে লেগে যায় ১০ বছর। প্রায় পৌনে চার হাজার কোটি টাকার রাস্তাটির নির্মাণ শেষে ২০১৬ সালে ২ জুলাই উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুগুলো দুই লেনের থেকে যাওয়ায় যানজট পিছু ছাড়েনি। কাঁচপুর, শীতলক্ষ্যা ও গোমতীতে পুরোনো সেতুর পাশে নতুন প্রশস্ত সেতু নির্মাণ শেষে ২০১৯ সালের ২৫ মে উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২৪৪ কিলোমিটার পথ চার লেনে উন্নীত হলেও যান চলাচল গত এক দশকে তিন গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও যানজট ফিরে আসছে। রাস্তাটিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চ যান চলছে ২০২০ সাল থেকেই। সব ধরনের যান একই সড়কে চলায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এই মহাসড়কের দুই পাশে ধীরগতি যান চলাচলের জন্য পৃথক লেন নির্মাণ করে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার প্রকল্প নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। সংস্থাটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে এম নাসির উদ্দিন পাঠান বলেছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব তিন থেকে চার ঘণ্টায় নেমে আসবে। সারাদেশকে এক সড়ক নেটওয়ার্কে জুড়তে ‘আটটি কানেক্টিভিটি এক্সপ্রেসওয়ে’ করিডোর নির্মাণে পরিকল্পনা নিয়েছে সওজ। তিন হাজার ৯৯৩ কিলোমিটার সড়ককে এর আওতায় আনা হবে। ঢাকা-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ, ঢাকা- সিলেট-তামাবিল বন্দর, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-রংপুর-বাংলাবান্ধা ও চিড়িরবন্দর, ঢাকা-রাজশাহী-সোনামসজিদ বন্দর, ঢাকা-যশোর-বেনাপোল বন্দর, ঢাকা-খুলনা-মোংলা বন্দর, ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা-পায়রা বন্দর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে চায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। সওজের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেছেন, চার লেনের মহাসড়ক প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত না হওয়ায় সব ধরনের যানবাহন একসঙ্গে চলাচল করে। এছাড়াও হাটবাজার বসে সড়কে। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি চলে ধীরগতিতে। এতে সময় ও জ্বালানির অপচয় হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ে মানে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত সড়ক। এতে টোল দিয়ে চলতে হবে। পথচারী, ধীরগতির যান চলবে না। বেষ্টনী থাকায় হাটবাজার বসতে পারবে না।
গত শতকের আট ও নয়ের দশকে ফেরি ভোগান্তি ছিল উত্তরবঙ্গের যাত্রীদেরও। সে সময়ে ঢাকা থেকে রংপুর মানে এক দিনের পথ। জগন্নাথগঞ্জ অথবা বাহাদুরাবাদ ঘাট হয়ে যমুনা পাড়ি দিয়ে উত্তরের জেলাগুলোতে যেতে হতো। যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার পর সরাসরি যোগাযোগ চালু হয়। এ শতাব্দীর শুরুর পর অর্থনৈতিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনও।
যানবাহন কতটা বেড়েছে তার হিসাব পাওয়া যায় সেতু বিভাগের কাছে। ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে যমুনা সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল ৬১ কোটি টাকা। ২০ বছর পর ২০১৯-২০ সালে আদায় হয় ৫৭৫ কোটি টাকা। ৯ গুণের বেশি বেড়েছে যানবাহন। যানবাহন বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে যানজটও। যানজটের ভোগান্তি দূর করতে ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত দুটি পৃথক প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হচ্ছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে চন্দ্রা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৬৯ কিলোমিটার রাস্তা সাসেক-১ প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হচ্ছে ছয় হাজার ২১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে। কাজ শেষ হয়েছে ৭৫ ভাগ। চার লেনের মহাসড়কের পাশে থাকছে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেন। মোড়গুলোতে গাড়ি পার হবে ওভারপাসে। কোথাও আটকাবে না গাড়ি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়কটিও এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার কাজ চলছে ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে। ২৬টি সেতু, তিনটি ফ্লাইওভার থাকছে এ এক্সপ্রেসওয়েতে। হাটিকুমরুলে নির্মাণ করা হবে দেশের সবচেয়ে বড় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্টারচেঞ্জ। যমুনা পার হয়ে এখন গাড়িগুলো যে যানজটে আটকা পড়ে তা থেকে পরিত্রাণে এই ইন্টারচেঞ্জ কাজ করবে। আশা করা হচ্ছে, এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকা থেকে রংপুর যেতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগবে। এখন লাগে আট থেকে ১০ ঘণ্টা। ঈদের সময় লাগে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা।
ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে উদ্বোধন করা হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়ক। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই সড়কটিকেও এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হবে। পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। মহাসড়কের দুই পাশে পৃথক লেন নির্মাণ করা হবে। আট লেনে উন্নীত করা হবে ঢাকা-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে। বিদ্যমান দুই লেনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুই পাশে সার্ভিস লেনসহ এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার কাজ শুরু হবে। দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের খুলনা ও যশোর যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ভোগান্তি আগামী বছরেই কমবে পদ্মা সেতু চালুর পর। সেতুর দুই প্রান্তে ইতোমধ্যে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত এ সড়ক দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ৯২ ভাগ কাজ শেষ হওয়া পদ্মা সেতু আগামী বছরের জুনে চালুর পর এক্সপ্রেসওয়ের বদৌলতে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙায় দূরত্ব (৬১ কিলোমিটার) এক ঘণ্টায় নেমে আসবে। এখন ফেরিতে পদ্মা পার হতেই দুই-তিন ঘণ্টা লাগে। কুয়াশা, ঝড় থাকলে তো দিন পার!
ভারতীয় ঋণে ভাঙ্গা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৬ কোটি টাকায় দুই পাশে ধীরগতির লেনসহ চার লেনের ১২৯ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে। যশোর থেকে খুলনার রাস্তাও চার লেনে উন্নীত করা শেষের পথে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কও চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। চলমান এসব প্রকল্পের কাজ শেষে রাজধানী থেকে খুলনা, যশোর, বরিশালের পথেও সময় লাগবে আগের তুলনায় অনেক কম।
বুয়েটের অধ্যাপক গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক সমকালকে বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মূল্যায়ন করলে যোগাযোগ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে গত এক যুগে অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু প্রধান সমস্যা হলো যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো নির্ধারিত সময়ে হয়নি। দফায় দফায় ব্যয় বেড়েছে। দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প সোয়া ছয় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এর কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে অদক্ষ এবং প্রকল্প গ্রহণের সময় ভুল পরিকল্পনা নকশা। এ কারণে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যে সমীক্ষা করে কাজ শুরু হয়েছিল, তা প্রকল্প বাস্তবায়নের পর মিলছে না। এ কারণে রাস্তা টিকছে না। এ সম্যাগুলো দূর করতেই হবে। নইলে উন্নয়নের সুফল আসবে না। যাদের জন্য এ অবস্থা হয়েছে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
শুধু মহাসড়ক নয়, রাজধানীতে গত দুই দশকে বিশাল অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তবে যানজট কমেনি। বরং বহুগুণ বেড়েছে। পরিবহন খাত সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এই অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে গাড়ি বাড়ছে। শুধু ঢাকায় ৬০টি প্রাইভেট কার নামছে প্রতিদিন। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটি) গত ১০ বছরে সারাদেশে নিবন্ধিত যানবাহন বেড়ে হয়েছে চার গুণ। ২০১১ সালে গাড়ির সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ২৭ হাজার। এখন তা ৪৬ লাখ ৪৯ হাজার। ঢাকায় গত ১০ বছরে যানবাহন পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ লাখ ৫২ হাজার। গাড়ি বৃদ্ধির কুফল হিসেবে যানজটও বেড়েছে। গত ১০ বছরে ঢাকায় গড় গতি ১৭ কিলোমিটার থেকে কমে পাঁচ কিলোমিটার হয়েছে।
যানজট কমাতে গত দুই দশকে সাতটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে রাজধানীতে। তাতে যানজট কমেনি। গণপরিবহনে জোর দিতে, সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০০৪ সালে প্রণীত এবং ২০১৬ সালে সংশোধিত দুই লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকার এ পরিকল্পনার আওতায়, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে। দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল আগামী বছরে চালু হবে। চলছে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত বাসের জন্য নির্ধারিত লেন (বিআরটি) নির্মাণের কাজ। আগামী বছরে এ প্রকল্পটিও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আরএসটিপি অনুযায়ী, আগামী ১৫ বছরে আরও চারটি মেট্রোরেল এবং একটি বিআরটি নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত আরেকটি এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। নির্মাণকাজ চলছে ঢাকা বাইপাসের। ঢাকাকে ঘিরে দুটি বৃত্তাকার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া গাবতলী থেকে নবীনগর হয়ে আরিচা পর্যন্ত একটি এক্সপ্রেসওয়ে হবে। আরেকটি এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী-ডেমরা পর্যন্ত। এ সড়কগুলো নির্মাণের পর যেকোনো যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ না করেই এক মহাসড়ক থেকে আরেক মহাসড়কে যেতে পারবে।