মুন্নীর মেডিকেল পড়ার দায়িত্ব নিলেন সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম। পাবনা জেলার মেধাবী শিক্ষার্থী জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর মেডিকেল কলেজে পড়ার দায়িত্ব নিলেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৩১১০তম হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী। তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৬৯.৭৫ নম্বর।
মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ছিলো মুন্নীর’ আর্থিক সমস্যার জন্য তার মেডিকেলে পড়া হবেনা। এই শিরোনামে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম সংবাদটি দেখে যোগাযোগ করেন সেই মেধাবী শিক্ষার্থী জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর পরিবারের সাথে। মুন্নীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) মুন্নী এবং তার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন ইকবালুর রহিম। মুন্নীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন মুন্নীর বাবা, মা। ইকবালুর রহিম তাদের আশ্বস্ত করেন মুন্নীর মেডিকেল কলেজের ভর্তিসহ সমস্ত দায়িত্ব আমি নিব। মুন্নীর পরিবার আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লে (হুইপ) ইকবালুর রহিম মেয়েকে নিয়ে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা করবেন না বলেন। এ বিষয়ে জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী বলেন, আমার পরিবার যে সিদ্ধান্ত নেবে বা দেবে সেটি আমার সিদ্ধান্ত। আমি বাবা মায়ের কথার বাহিরে যাবনা। আমি অনেক বড় ডাক্তার হতে চাই। আমি আমার বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।
জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর বাবা বাকী বিল্লার বলেন, এখন আমি চিন্তামুক্ত। আমার মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়া সংবাদ প্রকাশের পর থেকে অনেকেই আমার মেয়ের শিক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন। তবে যেখানে আমার মেয়ে চান্স পায়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক হুইপ ইকবালুর রহিম(এমপি) সাহেব আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। ওনার সঙ্গে কথা বলেছি,আমরা সবাই। তিনি আমার মেয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা তার অধীনে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর বিষয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমরা সকলে মিলে মুন্নীর পরিবার কে নিয়ে বসেছিলাম। সবার সিদ্ধান্তে মুন্নীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। মুন্নীর ভর্তিসহ সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম (এমপি)। আমাদের গ্রামবাসী ও মুন্নীর পরিবারসহ অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমপি সাহেব কে।
বাংলাদেশ সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত সংসদ সদস্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আমার প্রয়াত বাবার নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামকরণ করেছেন। আমি সংসদে যে ভাতা পাই সেই ভাতার অর্থ দিয়ে প্রতি বছরেই মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে ব্যয় করে থাকি। বর্তমানে আমাদের এই মেডিকেল কলেজে ৫ জন শিক্ষার্থী বিনাখরচে পড়াশোনা করছেন। এমবিএস পাস করেছেন ইতিমধ্যে ১৪ জন। মুন্নীর মেডিকেল কলেজের শিক্ষা গ্রহনের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে সেটা আমি বহন করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আর প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা সবসময় সাধারণ জনগণের পাশে ছিলাম আর সবসময় থাকতেও চাই।