প্রথম ডিজিটাল কাস্টমস হাউস বেনাপোল
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আমদানি রফতানি বাণিজ্যে গতি, রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও শুল্কায়নে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে ‘বিকম’ নামে একটি নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জুম মিটিংয়ে এ সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এ প্রথম বেনাপোল কাস্টমস হাউসই একমাত্র ডিজিটাল কাস্টম হাউসে উন্নীত হলো।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করতে জিরো পয়েন্টে ইতোপূর্বে কার্গো শাখায় কাস্টমস, বন্দর ও বিজিবি যৌথভাবে এন্ট্রি করা হতো। ফলে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে সময় লাগতো ৩০ মিনিট। বর্তমানে বিকম সফটওয়্যারের মাধ্যমে বারকোড ব্যবহার করায় সময় লাগছে মাত্র ৫ মিনিট। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় ভারত থেকে। ভারতীয় এসব ট্রাকের অবস্থান ও কোন শেডে পণ্য আনলোড হচ্ছে তা মুহূর্তেই জানা যাচ্ছে বিকমের মাধ্যমে। আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট’র ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের ঝুঁকি বিশ্লেষণ দ্রুত সম্ভব। দেশের যে কোন স্থানে অবস্থান করেও আমাদনি রফতানি পণ্যবাহি ট্রাকের সুনির্দিষ্ট স্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে।
মুহূর্তেই জানা যাচ্ছে, বকেয়া রাজস্ব, ব্যাংক গ্যারান্টি, আন্ডারটেকিং ও সিএন্ড এফ এজেন্ট লাইসেন্স এর সকল তথ্য একযোগে যেকোন অফিসার জানতে পারছেন। বেনাপোল কশিশনার আজিজুর রহমানের নির্দেশে অতিরিক্ত কশিনার ড. নেয়ামুল ইসলামের একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে এই প্রথম কাস্টমস হাউসে বিকম সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ১৫টি মডিউলের মাধ্যমে আমাদনি রফতানি বাণিজ্যে গতি, স্বচ্ছতা ও প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত মনিটরিং, চোরাচালানী পণ্য আটকসহ কাস্টমস ও বন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছেন কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
বন্দরের গুদামে সংরক্ষিত বাজেয়াপ্ত মালামাল সমুহের অবস্থান নিশ্চিত করা। পণ্যের রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি করা সম্ভব নয় এ ধরনের সফটওয়্যারে। ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য ডিটেক্ট করা সম্ভব দ্রুত । জাতীয় চেয়ারম্যান দেশে নতুন এই সফটওয়্যার উদ্বোধনে বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের সফটওয়্যার দেশের প্রতিটি কাস্টমস হাউসে প্রতিষ্ঠা করা হবে।