বাজেট নিয়ে পরামর্শ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে সামগ্রিক অর্থনীতি যাতে গতি পায় সেজন্য আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে অর্থ মন্ত্রণালয় যেসব উদ্যোগ নিতে চায় তার সারমর্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীকে বাজেটের সম্ভাব্য পরিকল্পনা জানানো এবং এসব বিষয়ে তার পরামর্শ নিতে আজ মঙ্গলবার এক বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাজেট চূড়ান্ত করে ছাপার কাজ শুরু হবে।
ভার্চুয়াল এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত থাকার কথা রয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটের আয়-ব্যয়, অগ্রাধিকার খাত, করহার, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হবে। জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী এবং এনবিআর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
আগামী ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। নতুন অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রায় ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের খসড়া পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশাল ব্যয় মেটাতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হতে পারে। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে দুই লাখ ১৩ হাজার ৮০২ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসব খসড়া প্রাক্কলন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।
জানা গেছে, করোনার কারণে আর্থসামাজিক খাতে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো সমাধান করাই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ঠিক রাখা এবং রপ্তানি অব্যাহত রাখতে চায় সরকার। ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। এজন্য যেখানে যে ধরনের উদ্যোগ দরকার তা নেওয়া হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হবে। ভ্যাট রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হবে। যারা অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না, তাদের জরিমানা গুনতে হবে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। ভ্যাটের আওতা বাড়াতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) ব্যবহার বাড়ানো হবে।