বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পাঞ্চলের জন্য নতুন গ্যাসলাইন
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন করে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, মেঘনাঘাট পাওয়ার হাব এলাকায় এবং হরিপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকায় বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে; নতুন আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তৎসংলগ্ন আবাসিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ নেই। মুন্সিগঞ্জে গড়ে উঠা শিল্পাঞ্চলেও গ্যাস সংযোগ নেই।
“এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে অনেক লোকের বসবাস। সেখানে গ্যাসের লাইন না থাকলে তাদের নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও ওই সব এলাকার আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীদেরও এই গ্যাস সরবরাহ লাইনের আওতায় আনা হবে।” মন্ত্রী জানান, গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহের জন্য ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৫১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, বাকি ৭৯২ কোটি ৩ লাখ টাকার যোগান দেওয়া হবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।
জুলাই থেকে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে এই প্রকল্পসহ ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫ হাজার ২২০ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৭৯৪ কোটি টাকা এবং ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তার খাত থেকে যোগান দেওয়া হবে।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো-
এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প)’
১ হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষীপাশা-দুমকি সড়ক (জেড-৮০৪৪) এর ২৭তম কিলোমিটারে পান্ডব-পায়রা নদীর উপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’
১ হাজার ১০৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’
২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ
৩৪৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’
২১৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স এর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’
৬৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ’
২৯৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প
৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’