মামলা করতে লাগবে পাসপোর্ট ও এনআইডি
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : থানায় বা আদালতে মামলা করতে অভিযোগকারীর (বাদীর) পরিচয় যথাযথভাবে নিশ্চিত হতে বিদেশি এবং প্রবাসীদের পাসপোর্ট ও দেশীয়দের জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করাসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর করা ৪৯ মামলায় প্রতিকার চেয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এমন আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ জুন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চের দেওয়া ওই আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। আদেশে থানায়, সংশ্লিষ্ট আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এজাহার বা অভিযোগ
দায়েরের সময় অভিযোগকারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- অভিযোগ বা এজাহারে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, ক্ষেত্রমতো পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে। এজাহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে তাকে শনাক্ত করা ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ বাস্তব পরিস্থিতিতে পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারকারীর পরিচয় নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন। অভিযোগকারী বিদেশি বা প্রবাসী হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
একই সঙ্গে রুল জারি করে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ‘অস্তিত্বহীন’ ওইসব মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক বসির।
আইনজীবী এমাদুল হক বসির বলেন, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা হয়। এসব মামলায় তিনি ১ হাজার ৪৬৫ দিন জেল খেটেছেন। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), মহাপরিচালক র্যাব, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়।