চলতি বছরেই সারা দেশে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ-ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চলতি বছরের মধ্যেই সারা দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ব্রডব্যান্ড সংযোগ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বুধবার (৭ জুলাই) ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২১ (প্রস্তাবিত) রিভিসান শীর্ষক ভার্চুয়াল কর্মশালায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। এফোরএআই কর্মশালাটির আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৭১টি দ্বীপ সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। হাওর ও দুর্গম চরসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২ হাজারেরও বেশি ওয়াইফাই জোন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্রডব্যান্ড পলিসির খসড়া প্রণয়নে এফোরএআইয়ের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, সামনের ১০ বছরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি উপযুক্ত নীতিমালা সরকার তৈরি করছে। এই নীতিমালাকে কেবল ব্রডব্যান্ড নীতিমালা নয় এটি সবদিক বিবেচনায় একটি পূর্ণাঙ্গ ইন্টানেট নীতিমালা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ মোবাইল যুগে প্রবেশ করে। ১৯৯৭ সালে পর ২জি, ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি নেটওয়ার্ক যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করে।
তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভজি প্রযুক্তি আগামী দিনের শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে। আমরা কৃষিতেও এই প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারব। করোনায় জীবনযাত্রা সচল রাখতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ভূমিকা তুলে ধরে তিনি জানান, টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বল্পমূল্যে কীভাবে স্মার্টফোন সরবরাহ করা যায় এ বিষয়েও আমরা কাজ করছি। করোনাকালে স্থানীয় কনটেন্টের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই বিবেচনায় করে পাঠ্যক্রম ডিজিটাল কনটেন্টে রূপান্তর করা উচিত। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইসার আনির চৌধুরী, রবির সিইও মাহতাব আহমেদ, অ্যামটবের সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ ও এফোরএআই উপপরিচালক এলিনুর উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন এফোরএআইয়ের কান্ট্রি সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন আকবর।