দীর্ঘ ৫৬ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পণ্যবাহী ট্রেন চালু
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ ৫৬ বছর আবারো চালু হয়েছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। রবিবার (১ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে ট্রেনটির বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ পথে পণ্য পরিবহনে সাশ্রয় হবে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পথ। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ভারতীয় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দুটি ইঞ্জিন ভারতের নিউজলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসে। পরে হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলস্টেশনে পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করে পুনরায় ফিরে যায়।
শুরুতে শুরুতে পণ্যবাহী ট্রেনে ভারত থেকে পাথর ও গম আসবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে এ পথে অক্সিজেনবাহী ট্রেনও চলাচল করতে পারবে বলেও জানানো হয়। তবে আপাতত ৪০ বগির এ পণ্যবাহী ট্রেনটি দার্জিলিং এর নদী থেকে উত্তোলন করা বোল্টার পাথর বহন করছে।
রেলওয়ে সূত্রমতে, ১৯৬৫ সালের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় দুই দেশের সরকার। এ উদ্যোগে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ প্রায় সমাপ্তের পথে। এর আগে ভারত হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজ সমাপ্ত করলেও তাদের অংশে জিরো পয়েন্টে দেড়শ মিটার অবশিষ্ট ছিল। গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকালে অবশিষ্ট অংশের কাজ সমাপ্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয় ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। বন্ধ থাকা পথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো।
চলতি বছর বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনেতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সময় ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ঢাকা থেকে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতি যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা আপাতত থামিয়ে রেখেছে।