শেখ মুজিবের বাংলাদেশে সবার জীবন হবে উন্নত
সরকারী কর্মচারী এবং বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যেকটি মানুষ সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের সরকারের একটাই চিন্তা, একেবারে তৃণমূলে পড়ে থাকা যে মানুষগুলো তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, জীবন মান উন্নত করা এবং তাদের একটু সুন্দর-উন্নত জীবন দেয়া। যে মৌলিক চাহিদার কথা সংবিধানে বলা আছে তা পূরণ করা। জাতির পিতার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন পূরণ করাটাই একটা দায়িত্ব এবং সেটাই হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নতি। কারণ বঙ্গবন্ধু যেভাবে চিন্তা করেছেন তার থেকে ভাল চিন্তা আর কেউ করতে পারে না।
স্থানীয় পর্যায়ে জনগণ যাতে এক জায়গায় সব সরকারী সেবা পেতে পারে, সেজন্য সারা দেশেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে সমন্বিত অফিস নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের জেলাভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সরকার এমন ব্যবস্থা করতে চায়, যাতে সরকারী কর্মচারীদের কাজের সুবিধা হয়, আবার জনগণও যাতে একবারে এক জায়গায় সব ধরনের সরকারী সেবা পায়। আর বস্তিবাসীরা যারা গ্রামে ফিরে যাবেন সরকারের তরফ থেকে জমি অথবা ঘর, ঋণ দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে তাদের ছয় মাসের খাবার বিনামূল্যে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঢাকায় নির্মিত ফ্ল্যাট, বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে নির্মিত স্বল্প ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন ও হস্তান্তর এবং মাদারীপুরে নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আজিমপুর সরকারী কলোনি, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন, মালিবাগ এবং মতিঝিলে ২ হাজার ৪৭৪টি ফ্ল্যাট সংবলিত ৫টি আবাসন প্রকল্প এবং বস্তিবাসীদের জন্য মিরপুরে নির্মিত ৩০০টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন ও হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া, অনুষ্ঠানে মাদারীপুরে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবনও উদ্বোধন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কয়েকজন বস্তিবাসীর মাঝে ফ্লাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন করেন। প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পগুলোর ওপর ভিডিও চিত্রও পরিবেশিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন বা ঠিকানাহীন থাকবে না- তার সরকারের এই দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেকের একটা ঠিকানা হবে এবং যারা বস্তিতে বসবাস করছেন তাদের জন্যও একটি সুষ্ঠু আবাসন ব্যবস্থা আমরা করে দেব। আজকে অন্তত তিন শ’টা ফ্ল্যাট থেকে তিনটা পরিবারকে আমরা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করছি এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে আমরা এই ব্যবস্থাটা নেব। কিন্তু তাদের ভাড়া দিয়ে থাকতে হবে। যতদিন এই ঢাকায় থাকবে তারা ভাড়া দিয়ে থাকবে। আর যারা নিজের গ্রামে ফিরতে চান, যদি কারও জমি না থাকে জমিসহ আমরা ঘর দেব। আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে আমরা সেটা দিচ্ছি। সেই সঙ্গে ঋণ পাবেন এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রয়োজনে ছয় মাসের খাবার আমরা বিনামূল্যে দেব, যাতে ওই ছয় মাসের মধ্যে নিজে একটা কাজ করে চলতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের ভিটামাটি আছে তাদেরও ঘর করে দেয়া হবে, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। সেই ঘরে ফেরা কর্মসূচীটা আবার আমি ভালভাবে চালু করব। বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে না থেকে নিজের গ্রামে ফিরে গেলে এই সুবিধাগুলো পাবেন। প্রথমবার সরকার গঠনের পর বস্তির শিশুদের গণভবনে ডেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পরবর্তীতে বস্তিবাসী যারা নিজেদের গ্রামে ফিরে যেতে চান তাদের জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছিল।
বস্তির অস্বাভাবিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা তুলে ধরে বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট করার উদ্দেশ্যও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নানাভাবেই এখানে (বস্তি) একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ থাকে। সেই জায়গা থেকে মানুষগুলোকে মুক্ত করা, একটা সুন্দর পরিবেশে বসবাস করা, নিজের জীবন জীবিকা চালানো। ফ্ল্যাটে মাসে ভাড়া দিয়ে দিতে পারবেন, সপ্তাহে যারা কামাই করে ভাড়া দেয় তারাও পারবে বা প্রতিদিনের ভাড়া হিসেবে যদি কেউ নিতে চায় সেভাবেও নিতে পারবে। সেভাবে আমরা এই ফ্ল্যাটগুলো তৈরি করে দিচ্ছি যাতে একটা সুস্থ পরিবেশে সবাই থাকবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা কর্মসূচী আমরা নিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচী। একজন বস্তিবাসী যদি নিজ গ্রামে ফিরে যায় তার যদি ভিটেমাটি থাকে সেখানে বিনা পয়সায় ঘরবাড়ি তৈরি করে দেয়া, তাকে স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার পাশাপাশি ছয় মাসের বিনা পয়সায় দেয়া এবং সে যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তার ব্যবস্থা করে দেয়া। এভাবে বেশ কয়েক হাজার মানুষ, প্রায় ১৮ হাজার পরিবার নিজ গ্রামে ফিরে গিয়েছিল। সেভাবে আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলাম।
জাতির পিতার স্বপ্ল পূরণে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তার বড় মেয়ে হিসেবে সবসময় তার কাছে একথা শুনেছি যে, কীভাবে তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশকে সাজাতে চান। এই আগস্ট মাসে বস্তির মানুষগুলো যে থাকার একটা সুন্দর জায়গা পাবে এটিই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ, যে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে। আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। কিন্তু আমি জানি জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশ স্বাধীন হওয়ার ১০ বছরের মধ্যেই দেশের মানুষ উন্নত জীবন পেত। প্রত্যেকটি গ্রাম এবং ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত উন্নত হতো। কাজেই সেই কাজটাই আমরা এখন করে যাচ্ছি।’
জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে ভূমিহীনদের ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন উল্লেখ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, সাড়ে তিন বছর একটা রাষ্ট্রের জন্য কম সময়। তখন তো একটা প্রদেশ ছিল, তাকে একটি দেশে উন্নীত করা ও গড়ে তোলা, এটা তিনি করে গেছেন। কিছু বেইমান-মোনাফেকের জন্য বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হয়নি। জাতির পিতা সবসময় একটি কথাই বলতেন, ‘আমার জীবনের একমাত্র কামনা বাংলাদেশের মানুষ অন্ন পাবে, বস্ত্র পাবে, তারা উন্নত জীবনের অধিকারী হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশের মানুষ রোগে-শোকে জর্জরিত, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য। এজন্য ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি থেকে তিনি ধাপে ধাপে জাতিকে মুক্ত ও স্বাধীন করেছেন। আর এই আন্দোলন-সংগ্রামের জন্যই তাকে জেলে নিয়েছে, নির্যাতন করেছে, হত্যা করতে চেয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা প্রত্যেকটি মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করেন। জেলা গবর্নর নিয়োগ দেন, যাতে প্রত্যেকটি জায়গা পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতে পারে। কিন্তু, ’৭৫’র পর এ পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ফেলা হয়।
জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের সময় দেশের বাইরে থাকার পর দেশে ফেরায় তৎকালীন সামরিক জান্তার নানা প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার আসার পথ সহজ ছিল না। তৎকালীন সামরিক শাসক যিনি ছিলেন, অনেক রকম বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমার দল ও বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসায় ফিরে আসি। আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮১ সালে একরকম জোর করেই দেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তখন আমি দেখেছিলাম হাজার হাজার মানুষ। যাবার সময় যে পরিবারের সদস্যরা ছিল তারা কেউ ছিল না। কিন্তু হাজার হাজার সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ পেয়েছিলাম।
সারাদেশে সমন্বিত সরকারী অফিস হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণ যাতে এক জায়গায় সব সরকারী সেবা পেতে পারে, সেজন্য সারা দেশেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে সমন্বিত অফিস নির্মাণে তার সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রশাসনের জেলাভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সরকার এমন ব্যবস্থা করতে চায়, যাতে সরকারী কর্মচারীদের কাজের সুবিধা হয়, আবার জনগণও যাতে একবারে এক জায়গায় সব ধরনের সরকারী সেবা পায়। আজকে আমরা মাদারীপুরে যে সমন্বিত সরকারী অফিস, অর্থাৎ সমস্ত কাজ চলবে একই বিল্ডিংয়ে। প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করবেন, আর যে সরকারী সেবা পেতে যাবেন, এক জায়গায় গিয়েই সব কাজ পাবেন। তাতে যেমন রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম কমবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরেও চাপ পড়বে না। যারা যাবেন, তাদের যাতায়াতের খরচটাও বেঁচে যাবে। ওখানে এক জায়গায় বসে তারা সব কাজ করে আসতে পারবেন। একটা সমন্বয় থাকবে।
এ ধরনের সমন্বিত অফিস হলে যে জমিরও সাশ্রয় হবে, সে কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান আরও বলেন, সব সময় এটা মাথায় রাখতে হবে- জমির সাশ্রয় করা। সেজন্য এটা মাদারীপুরে প্রথম আমরা করলাম। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক জেলায় আমরা করব, প্রতি উপজেলায় করে দেব। কারণ শুধু উপজেলায় শুধু সরকারী অফিস না, আমি চাচ্ছি যে প্রত্যেক উপজেলায় ফ্ল্যাট তৈরি করে দেব। কারণ অনেক চাকরিজীবীকে সেখানে যেতে হয়, থাকার অসুবিধা হয়। ভাল বাড়ি ভাড়া পান না, নানা অসুবিধায় পড়তে হয়। সেদিকে বিবেচনা করে আমরা সেটাও করে দেয়ার চিন্তা করছি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে আমাদের সরকারী কর্মচারী প্রয়োজন। আমাদের সংবিধান কিন্তু সরকারী অফিসারদের সরকারী কর্মচারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কে উঁচু বা কে নিচু সেটা দেখা হয়নি। আমরা যখন সরকার গঠন করি, তাদের যখন কাজ করাই, সেখানে তাদের ভাল মন্দটাও আমাদের দেখতে হবে।
স্বাধীনতার পর সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমানের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সরকার গঠন করার পর দেখেছি যে আমাদের সরকারী অফিসাররা একবার একটা বাসা পেলে তার যতই প্রমোশন হোক সেখানেই সে থাকবে, কারণ পরে ভালবাসা পাবে কিনা তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আমি সরকার গঠন করার পর থেকে উদ্যোগ নেই যে, সকলের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করে দেব এবং ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেব।’
সরকারপ্রধান বলেন, ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্দেশ্যটা এইজন্য যে, আমাদের ভূমির পরিমাণ কম, জনসংখ্যা বেশি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি থেকে এখন সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে মানুষ। কাজেই আমাদের সরকারের পরিধিও বেড়েছে, কাজের পরিধি বেড়েছে। আমাদের সরকারী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে। সেটা বিবেচনা করে আমরা ঠিক করলাম যে, ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেব। বিভিন্ন পর্যায়ের যারা আছেন উচ্চপদস্থ, সেই উচ্চপদস্থ থেকে নিম্ন পর্যায়ের সকলের জন্যই ফ্ল্যাট বাড়ি করে সকলকে একটা সুন্দর পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা করে দেব, যেন ভালভাবে কাজ করতে পারেন।